দীর্ঘদিন হয়ে গেলো লোকাল ট্রেন আর চলার নাম নেই। রাজ্যে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু এখনও লোকাল ট্রেন চালানো নিয়ে কোনরকম মন্তব্য করেননি মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তারপর থেকেই বিভিন্ন জগতের মানুষের মধ্যে এই ট্রেন চালানো নিয়ে ক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করেছে। সকলেই চাইছে যেনো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ট্রেন চালু করা হোক। আজকে নতুন বিধিনিষেধের ২য় দিন। আর এই দ্বিতীয় দিনেই চরম বিশৃঙ্খলা হুগলি জেলার পান্ডয়ায়। দফায় দফায় রেল চলাচল বন্ধ করতে বাধ্য হয় পূর্ব রেলওয়ে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এখনো স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চালানো হলেও কেনো সাধারণের জন্য লোকাল ট্রেন চালানো হচ্ছে না?
বর্তমানে বাংলায় সমস্ত স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চালানো হলেও এখনো পর্যন্ত সাধারণ লোকাল ট্রেন চালানোর পরিষেবা শুরু করা হয়নি। কারণ হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, লোকাল ট্রেন এখনই চালিয়ে দেবে বলে হু হু করে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাবে। এই সমস্ত স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে কিছু সংখ্যক মানুষ উঠতে পারেন, সবাই উঠতে পারেননা। তাই অন্যান্যদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। আর এই বিক্ষোভের আঁচ আজকে গিয়ে পড়লো হুগলির পান্দুয়া স্টেশনে। সেখানে স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখালেন, লোকাল ট্রেন চালানোর দাবি নিয়ে। তাদের মূল বিষয় ছিল, লোকাল ট্রেন চালাত হবে এবং আগের মত লোকাল ট্রেনের সংখ্যা বাড়াতে হবে। নাহলে তারা তাদের বিক্ষোভ সরাবেন না। এই বিক্ষোভের কারণে বর্ধমানের ডাউন সেকশনে নেহা কিছুক্ষন ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিল পূর্ব রেলওয়ে।
প্রায় আড়াই মাস হয়ে গেল রাজ্যে ট্রেনের চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ। স্টাফ স্পেশাল ট্রেন এখনো পর্যন্ত চালানো হলেও লোকাল ট্রেন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকার কারণে সাধারণ মানুষ এই সমস্ত ট্রেনে সচরাচর উঠতে পারছেন না। যারা উঠতে পারছেন যারা এই সমস্ত স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে উঠে কর্মস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এই সমস্ত ট্রেনের সংখ্যা অনেক কম, পাশাপাশি এই সমস্ত ট্রেনে উঠতে গেলে সেখানকার কর্মীদের সঙ্গে বচসা লাগছে তাদের। এছাড়াও হাওড়া স্টেশনে ধরপাকড় হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন অনেকে। অনেক স্টেশনে আবার দৈনিক টিকিট দেওয়া হচ্ছে না বলে অনেকে অভিযোগ জানিয়েছেন।
এরকম পরিস্থিতিতে, এবারে ব্যাপক মানুষ হুগলি পান্ডুয়া স্টেশন এর সামনে দাড়িয়ে ট্রেন অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। সপ্তাহের শুরুর দিনেই এরকম একটি বিক্ষোভ দেখে রীতিমতো হতচকিত হয়ে যান অনেকেই। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এবং সামাল দেবার জন্য নামতে হয় রেল পুলিশকে। ট্রেন লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার জেরে রীতিমতো অসুবিধার সম্মুখিন হন স্টাফ স্পেশাল ট্রেনের যাত্রীরা।