নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্নের প্রকল্প হল বুলেট ট্রেন। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবে রূপ পাওয়ার কথা ছিল। ডিসেম্বরে চালু হওয়ার কথা ছিল স্বপ্নের বুলেট ট্রেনের। কিন্তু সেই স্বপ্ন চলতি বছরে আপাতত অধরাই রয়ে যাবে বলে মনে করছেন এই কাজের সঙ্গে যুক্ত সরকারি আধিকারিকদের একাংশ। কারণ, গোটা বিশ্বের পাশাপাশি দেশকেও করোনা মহামারী গ্রাস করেছে। তাই প্রকল্পের কাজ শেষ হতে এখনও বেশ খানিকটা সময় লাগবে বলে জানা গিয়েছে।
চলতি বছরের শেষে মুম্বই-আমেদাবাদ বুলেট ট্রেন চালু হবে এমনটা মাথায় রেখেই ন্যাশনাল হাই স্পিড রেল কর্পোরেশন (NHSRCL) জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু করেছিল। তবে এখনও মুম্বইয়ের পালঘর ও গুজরাটের নাভসারী এলাকার জমি অধিগ্রহণ বাকি রয়েছে। প্রকল্পের কাজ যাতে তাড়াতাড়ি শেষ করা যায়, তাই গত বছর টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। কিন্তু সে প্রক্রিয়াও আপাতত স্থগিত।
NHSRCL-এর এমডি অচল খায়ের এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য টেন্ডার ডেকেছিলাম। কিন্তু সেই টেন্ডার পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়েছে। কারণ, কোভিড সমস্যার জন্য কাজ শুরু করলে কী প্রভাব পড়বে, তা আমরা বুঝতে পারছিলাম না। এখনও বুঝতে পারছি না। তাই করোনার কারণে এই প্রকল্প কতটা সুদূরপ্রসারী হবে সেটাও বোঝা যাচ্ছে না।
তবে কাজে বিলম্ব হলেও সরকারিভাবে প্রকল্প শেষ করার যে ডেডলাইন দেওয়া ছিল, তা এখনও বহাল আছে। জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পের মোট ছটি ভূগর্ভস্থ স্টেশন থাকবে। গুজরাটের সবরমতী নগরে সবরমতী যাত্রী হাব তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল এক লক্ষ কোটি টাকা। কিন্তু করোনার জন্য খরচ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি আরও একটু স্বাভাবিক না হলে বুলেট ট্রেন প্রকল্পের কাজ পুরোদমে শুরু করা যাচ্ছে না। তাই চলতি বছরের ডিসেম্বরে মোদির বুলেট ট্রেনের চাকা যে গড়াবে না, তা বলাই যায়।