সারা দেশ এখন হাথরসের ধর্ষণ কান্ড নিয়ে তোলপাড়। এর মধ্যে গতকাল শুক্রবার হাথরসে জান তৃণমূলের সাংসদের দলের প্রতিনিধিরা। তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে জান। দফায় দফায় সেখানে বিক্ষোভ শুরু হয়। এমনকি এই একই ধারা জারি করা হয় দিল্লির ইন্ডিয়া গেটের সামনেও। কারণ, সেখানেও জমায়েত করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। এমনকি ডেরেক ও’ব্রায়েন ও কাকলি ঘোষদস্তিদারদের কার্যত ধাক্কা মারে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
এমনকি শনিবার এরই প্রতিবাদে বিকেলে মহানগরের রাজপথে নামেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিড়লা তারামণ্ডলের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু হয় সেখান থেকে মেয়ো রোডের গান্ধীমূর্তি পাদদেশ এসে পদযাত্রা শেষ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পদযাত্রায় শেষে এক সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় তিনি বলেন, করোনা চলাকালীন দীর্ঘ বেশ কয়েক মাসে আমার কিছু পরিচিত লোকজন মারা গিয়েছেন।
এই করোনা পরিস্থিতিতে আমার সেই খবর শুনে কষ্ট হয়েছে। কিন্তু এরকম কষ্ট হয়নি। কিন্তু এসবের মাঝেই এবার মমতাকে নিশানা করে বসলেন সিপিআইএম নেতা মহম্মদ সেলিম। এসবই তাঁর ‘দ্বিচারিতা’ বলে উল্লেখ করেছেন সিপিআইএম নেতা মহম্মদ সেলিম। রাজ্যে বিভিন্ন ধর্ষণের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রীকে নানা কথা শোনান।
সেলিম বলেন, “উত্তরপ্রদেশের ঘটনা সারা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে। কীভাবে যোগী সরকার প্রশাসনকে কাজে লাগায় সবাই দেখেছে। প্রধানমন্ত্রী চুপ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ তার প্রতিবাদ মিছিল করলেন। সাংসদ প্রতিনিধিও পাঠিয়েছিলেন। রাহুল গান্ধীকে যখন ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তখন গতকাল তাঁরা অ্যাকশন রিপ্লে করতে গিয়েছিলেন। তাদের আটকানোটা অন্যায়। কিন্তু প্রশ্নটা হচ্ছে এই রাজ্যে যখন দাঙ্গা হয়েছে, ধূলাগড় সহ বিভিন্ন জায়গায় আমরা যাওয়ার চেষ্টা করেছি, মমতার সরকার আটকেছে। যে সাংসদ গেলেন তাঁর এলাকায় কামদুনির ঘটনা ঘটেছিল। উনি কি কখনও গিয়েছিলেন? পার্কস্ট্রিটের ঘটনার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বলেছিলেন, কোনও রেপ হয়নি, সাজানো ঘটনা। কয়েকদিন আগেও রাজগঞ্জে প্রশাসনের কেউ যায়নি। আর এখানে তিনি নাটক করছেন! আপনি আচরি ধর্ম অপরে শিখাও”।