বলিউডবিনোদন

বিয়ের আগে পরকীয়া, বিয়ে নিয়ে তোলপাড়, অহংকারের কারণে অনেক ছবি হারিয়েছিল এই দক্ষিণ অভিনেত্রী

Advertisement

দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী হলেন জেসমিন মেরি জোসেফ। অভিনয় দুনিয়ায় মীরা জেসমিন নামেই পরিচিত তিনি। ২০০১ সালে লোহিতা দাসের ‘সূত্রধরন’ ছবি দিয়েই নিজের অভিনয় জীবন শুরু করেছিলেন অভিনেত্রী। শুরু থেকেই তার অভিনয় নজর কেড়েছিল দর্শকমহলের। পেয়েছিলেন জনপ্রিয়তাও, যা কায়েম রয়েছে এখনো। সেইসময় থেকেই লোহিতা দাসের সাথে তার নাম জড়িয়ে ছিল। মিডিয়ার পাতায় সেই নিয়ে কম চর্চাও হয়নি। পরবর্তীকালে বিতর্কিত পরিস্থিতিতে বিয়েও হয়েছিল তার। নিজের অহংকারের জন্য হারিয়েছেন একাধিক কাজ। বলাই বাহুল্য, নিজের অভিনয় জীবনের পাশাপাশি এই অভিনেত্রী নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও একাধিক সময়ে চর্চিত হয়ে এসেছেন। ৪১ বছর বয়সে এসে আবারো সেইসমস্ত প্রসঙ্গই অভিনেত্রীকে একাংশের মাঝে চর্চায় নিয়ে এসেছে।

খুব সম্প্রতি ৪১’শে পা দিলেন মীরা জেসমিন। ১৯৮২ সালের ১৫’ই ফেব্রুয়ারি কেরালার থিরুভাল্লায় জন্মেছিলেন তিনি। তবে তাকে দেখে তার বয়স আন্দাজ করতে পারা সত্যিই কঠিন। সেই শুরুর সময় থেকে নিজেকে মেন্টেন করে এসেছেন অভিনেত্রী। আপাতত, জন্মদিনে কেরিয়ার থেকে শুরু করে তার ব্যক্তিগত জীবন রয়েছে চর্চার আলোয়। ২০০৫ সালে লোহিতা দাসের সাথে তার সম্পর্ক তৈরি হলেও, তা খুব বেশিদিন টেকেনি। এরপর ‘পদম ওন্নু: ওরু ভিলাপাম’ ছবিতে অভিনয় করার সময় সহ-অভিনেতা আর্যদান শওকতের সাথে নাম জড়িয়ে ছিল তার। চর্চা চলেছিল মিডিয়াতেও। দর্শকদেরও তাদের রসায়ন পছন্দ হয়েছিল। তবে শেষপর্যন্ত তাদের সম্পর্ক পরিণতি পায়নি।

এরপর ২০১৪ সালে দুবাইয়ের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার অনিল জন টিটুসের সাথে এক বিতর্কিত পরিস্থিতিতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। খ্রিস্টান ধর্ম মেনেই বিয়ে হয়েছিল তাদের। বিয়ের সময় পুলিশের কাছ থেকে নিরাপত্তাও চেয়েছিলেন অভিনেত্রী। কারণ তিনি আশঙ্কা করেছিলেন তার স্বামীর প্রথম স্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যরা তাদের বিয়েতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। সেইসময় নিজের বিয়ে নিয়ে তুমুল চর্চায় ছিলেন অভিনেত্রী।

তার স্বামী প্রথম স্ত্রীর কাছ থেকে বিচ্ছেদ পত্র প্রদান করতে না পারায় তাদের বিয়ে গ্রাহ্য হয়নি সেইসময়। পরবর্তীকালে অভিনয় দুনিয়া থেকে কিছুটা দূরে গিয়ে নিজের স্বামীর সাথে দুবাইতেই থাকতে শুরু করেছিলেন অভিনেত্রী। পরে অবশ্য আবারো ফিরে এসেছিলেন নিজের জায়গাতেই। ২০২২’এ ‘মাকাল’ ছবিতে শেষ দেখা গিয়েছিল তাকে। একটা সময় নিজের অহংকারের জন্যই একাধিক ভালো কাজ হারিয়েছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে মনোজ আলুঙ্কল জানিয়েছিলেন, তিনি একজন ভালো অভিনেত্রী হওয়া সত্ত্বেও ভীষণ অহংকারী। উল্লেখ্য, এই অভিনেত্রী তামিল, তেলেগু, মালায়ালাম ছাড়িও কন্নড় ছবিতে অভিনয় করেছেন।

Related Articles

Back to top button