ভারতের বালাকোটে বিমান হামলার পর পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। পাকিস্তান দাবি করে, ভারতীয় বিমান বাহিনী তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে, কিন্তু পাকিস্তান বিমান বাহিনীর তৎপরতায় ভারতীয় বিমানগুলো পালিয়ে যায়। পাকিস্তান জানায়, ভারতীয় বিমানগুলো বালাকোটের কাছে তড়িঘড়ি করে পে-লোড ফেলে পালিয়ে যায়, যার ফলে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বিজয় গোখলে জানান, বালাকোটে জইশ-ই-মোহাম্মদের প্রশিক্ষণ শিবিরে হামলা চালিয়ে বহু জঙ্গিকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এটি একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ছিল।” পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, “ভারতের আগ্রাসনের জবাবে আমরা সময় ও স্থানের পছন্দ অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া জানাবো।” তিনি আরও বলেন, “যুদ্ধ শুরু করা সহজ, কিন্তু তা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন।”
এই ঘটনার পর পাকিস্তান তাদের সমস্ত সামরিক ঘাঁটি সতর্ক অবস্থায় রাখে এবং জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির জরুরি বৈঠক আহ্বান করে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি বলেন, “ভারতের এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবহিত করেছি।” বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ঘটনার ফলে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক আরও খারাপ হতে পারে। তবে উভয় পক্ষই যুদ্ধ এড়াতে চায় বলে ইঙ্গিত দিয়েছে।














