মিমি- নুসরত টলিউডের দুই বোনুয়া নামে পরিচিত। সাধারণত টলি ইন্ডাস্ট্রির ইঁদুর দৌড়ের প্রতিযোগিতায় যখন অন্য অভিনেত্রীরা একে অপরের শত্রু হয়ে ওঠেন তখন এরা নিজেদের সম্পর্কের দৃষ্টান্ত রেখেছিলেন। নুসরত-মিমি অন্যদের থেকে অন্যরকম সম্পর্ক বজায় রাখতেন। একসঙ্গে সময় কাটানো, পার্টি, হ্যাং আউট, ভোটের প্রচার, একসাথে শপথ গ্রহণ সবেতেই তাঁরা ছিলেন হাত ধরাধরি করে। কিন্তু হঠাৎই সেই সম্পর্কে যেন ফাটল নজরে পড়ছে। শোনা যাচ্ছে যশের সঙ্গে সম্পর্ক গাঢ় হওয়ার পর থেকেই নাকি দুই বান্ধবীর মধ্যে দূরত্ব বেড়েছে। অভিনেতা সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই নিয়ে শুরু হয় ফের আরো এক জল্পনা।
সম্প্রতি বিধানসভা ভোট মিটতেই নুসরত আর যশের সম্পর্কের গভীরতা এখন সকলের কাছেই প্রকাশ্যে। ফ্যানেরা ভালোবেসে নাম দিয়েছেন যশরত। এদের ঘনিষ্ঠতা কারও চোখ এড়ায়নি। এমনকি যশ-নুসরত নিজেরাও এক প্রকার নিজেদের সম্পর্কের কথা স্বীকারই করে নিয়েছেন। তবে এরপর থেকে আর দুজনকে একসময় সময় কাটাতে এক্কেবারেই দেখা যাচ্ছেনা। মাঝেই কিছুদিন আগে শোনা যায় অভিনেত্রী নুসরত অন্তঃসত্ত্বা। সেই সময় নুসরতকে নানান কটুক্তির সম্মুখীন হতে হয়। এই সময় বন্ধুর পাশে থাকতে দেখা যায়নি মিমিকে। এই নিয়ে নানান প্রশ্ন ওঠে। কেন নুসরতের বিপদে নেই প্রিয় বোনুয়া?
এদিকে নিখিলের সঙ্গে নুসরতের সম্পর্কে ফাটল এবং যশের সঙ্গে নুসরতের ঘনিষ্ঠতার বাড়তেই যেন কিছুটা নিজেকে অন্তরালে সরিয়ে নিয়েছেন মিমি। নুসরত এখন অনেকবেশি ঘনিষ্ঠ শ্রাবন্তী, তনুশ্রীদের সঙ্গে। কয়েকদিন আগেই অন্তঃসত্ত্বা নুসরতের সঙ্গে তনুশ্রী-শ্রাবন্তীর ছবি ভাইরাল হয়েছিল। লকডাউনের মাঝেই দুই বান্ধবীর সাথে হাউজ পার্টিতে মেতেছিলেন। আর তাতেই কিছুটা ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। অন্যদিকে মিমি চক্রবর্তীর এই টলি ইন্ডাস্ট্রির কাছের বন্ধু হয়ে উঠেছেন অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় ও পার্নো মিত্র। সোশ্যাল মিডিয়াতে একে অপরের সাথে কাটানো নানান মুহূর্ত উঠে এসেছে।
মঙ্গলবার সকালে কসবার ভ্যাকসিন সেন্টারে হাজির ছিলেন মিমি। সেখানেই করোনা টিকার প্রথম ডোজ নেন নায়িকা। এরপর এক সংবাদমাধ্যমে নুসরতের মা হওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল মিমির কাছে। এদিন প্রিয় বোনুয়াকে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সরাসরি এড়িয়ে যান মিমি। নুসরতকে নিয়ে প্রশ্ন আগেও অনেক প্রশ্ন করা হয়েছিল কিন্তু কোনওদিন এভাবে এড়িয়ে যেতে দেখা যায়নি মিমিকে। নুসরত প্রসঙ্গে উঠতেই সাংবাদিকে সরাসরি মিমি বলেন, ‘আজ তিনি অন্য বিষয় নিয়ে কথা বলছেন, অন্য সময় এই বিষয়ে আলোচনা করা যাবে’। নুসরতের জীবন আর বিতর্কের বিষয় প্রশ্ন করাতেও মিমি বলেন,’একজন নায়িকার জীবন কখনও ব্যক্তিগত হয় না, সবসময়ই তাঁরা থাকেন লাইমলাইটে’।
কেন এই বিতর্কিত বিষয় এড়িয়ে গেলেন। বন্ধুর সম্মানের জন্য তিনি চুপ থাকলেন নাকি নিজেকে বন্ধুর এই বিতর্কিত বিষয়ে নাম জড়াতে চাননা বলে এই নিস্তব্ধতা। প্রসঙ্গত, নুসরতের বলা লিভ-ইন- রিলেশন উদযাপনে তুরস্কে হাজির ছিলেন টলিউডের একমাত্র বন্ধু ছিলেন মিমি। এই সোশ্যাল ম্যারেজের প্রতিটি মুহূর্তের সাক্ষী ছিলেন মিমি। বলা যায় কনে-পক্ষ হয়ে সবটা সামলেছিলেন তিনি। তবে যখন নুসরত নিখিলের সাথে নিজের বিয়ে অস্বীকার করেন তখন ও চুপ ছিলেন মিমি। নুসরত-মিমির সম্পর্কের এই চিড়ের কারণ জানার জন্য সকলেই উৎসাহী।