ভালো নেই অভিনেত্রী তথা সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। হ্যাঁ মন থেকে ভেঙে পড়েছেন অভিনেত্রী। একের পর এক দুর্ঘটনায় মুছড়ে পড়েছেন তিনি। কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীকে। মাসখানেক আগেই নিজের বড় সন্তান প্রিয় সারমেয় চিকুকে সারাজীবনের মতো হারিয়েছিলেন। সেই শোক এখনো অভিনেত্রী ভুলতে পারেননি। এই শোক ভোলার আগেই ফের প্রিয়জনকে হারিয়ে ফেলার ধাক্কা পান অভিনেত্রী। অভিনেত্রীর একের পর এক কাছের মানুষ ভালো নেই আর তাতেই অভিনেত্রীর ও মন ভালো নেই। শনিবার একটি দীর্ঘ ইনস্টাগ্রাম পোস্টে অভিনেত্রী জানালেন জীবনের এখন কোন কঠিন সময়ের মুখোমুখি তিনি। তবুও এই অবস্থায় কোনো ভাবে হাল ছাড়তে নারাজ তাই জন্য পজিটিভ থাকবার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন অভিনেত্রী।
কারণ তিনি নিজেই জানিয়েছেন কোনো পরিস্থিতিতে কোনোভাবে হারতে শেখেননি, আর হাল ছাড়তে শেখেননি। সম্প্রতি কিছুদিন আগে অভিনেত্রী নিজেই ভুয়ো ভ্যাকসিনের কবলে পড়েছিলেন। ভুয়ো ভ্যাকসিনের জন্য প্রতারিত হয়েছেন পাশাপাশি নিজেও গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। এখন আগের থেকে অনেকটাই সুস্থ হলেও মানসিক ক্লান্তিতে ভুগছেন। কেন মানসিক ক্লান্তিতে ভুগছেন সেই কথা নিজেই জানালেন। গত মাসে নিজের আদুরে ঠাকুমাকে চিরতরে হারিয়েছেন। করোনা পরিস্থিতি আর কাজের চাপে ঠাকুমার শেষ বিদায়তেও হাজির হতে পারেননি। কিছুদিন আগেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তাঁর বাবা, যদিও এখন সম্পূর্ণ সেরে উঠেছেন অভিনেত্রী।
হাজার কঠিন পরিস্থিতিতে অভিনেত্রী পজিটিভ থাকতে শিখে গিয়েছেন কারণ এটাকে নিজের অভ্যাস হিসেবে অর্জন করেছে৷ অভিনেত্রী নিজের ইন্সটাগ্রাম হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘বন্ধুরা বলে তিনি খুব পজিটিভ। মিমি নিজেও সেটা বিশ্বাস করেন। অন্ধকারেও আলো খোঁজেন কারণ তিনি বিশ্বাস করেন আলোর দেখা মিলবেই। কারও সঙ্গে দেখা হলে হেসে কথা বলার চেষ্টা করেন। কারণ তিনি মনে করলেন, হাসি বা জড়িয়ে ধরা কাউকে কষ্ট দেয় না। কিন্তু আজ যদি পজিটিভ না থাকতে পারেন, না হাসতে পারেন, আলো দেখতে না পান, যদি এইবার তিনি হেরে যান। ‘
তিনি আরো লেখেন, আমার বড় সন্তানকে হারিয়েও আলো খুঁজেছি। আমি জানি অন্য পৃথিবীতে ওর সঙ্গে দেখা হবে। বাবার যখন কোভিড হয়েছিল তখনও আলোর সন্ধান করেছি, গত মাসে ঠাকুমা চলে গেলেন, আমি শেষ বিদায়ও জানাতে পারিনি। আর এখন আমার তিন মাসের সন্তান জুনিয়ার চিকু ও অসুস্থ। বলুন তো এবার কোথায় আলো খুঁজবো? তবে আমার বিশ্বাস হয়ত আমি শুধু সেই আলো দেখতে পাচ্ছি না, তবে আমি হাল ছেড়ে দিইনি, দেব না।’
সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রামে জুনিয়ার চিকুর অসুস্থতার কথা জানিয়েছেন মিমি, তবে ঠিক কী হয়েছে এই কুচো সারমেয়র তা স্পষ্ট করে জানাননি অভিনেত্রী। গত এপ্রিলেই৷ বড় ছেলে চিকুকে হারান মিমি। উল্লেখ্য , ফেব্রুয়ারি মাসেই ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিল চিকুর। ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য ভেলোর ও যান। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। বড় ছেলেকে হারিয়ে মে মাসেই মিমির কোল আলো করে আসে জুনিয়র চিকু। কিন্তু সে ও অসুস্থ। এই অসুস্থতার খবরে স্বাভাবিকভাবেই মন ভেঙেছে অভিনেত্রীর। তবে এই কঠিন সময়ে অভিনেত্রীর পাশে থাকবার জন্য বন্ধু অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মিমি। অনুগামীরা জুনিয়র চিকুর দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক এই প্রার্থনা করেছেন।