সম্প্রতি অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে উটিতে ‘এলিফ্যান্ট করিডোর’-এ বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। সুপ্রিম কোর্ট তাঁর উটির রিসর্ট ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এবার আইনি জটিলতায় জড়ালেন মিঠুনের ছেলে মহাক্ষয় ওরফে মিমো এবং মিঠুনের স্ত্রী যোগিতা বালি। মিমো চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে এক তরুণীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। যোগিতা বালির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে নির্যাতিতাকে ভয় দেখানোর।
নির্যাতিতা তরুণী নিজেও একজন অভিনেত্রী। 2015 সালে মিমো চক্রবর্তী তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। এইসময় একদিন মিমো আন্ধেরিতে তাঁর নতুন অ্যাপার্টমেন্টে তরুণীকে আমন্ত্রণ জানান। তরুণী মিমোর অ্যাপার্টমেন্টে গেলে মিমো তাঁকে সফট ড্রিঙ্ক অফার করেন। তরুণী প্রথমে সফট ড্রিঙ্ক পান করতে না চাইলেও মিমো জোর করে তাঁর হাতে সফট ড্রিঙ্ক-এর গ্লাস তুলে দেন। ওষুধ মেশানো সফট ড্রিঙ্ক পান করে ওই তরুণী অচৈতন্য হয়ে পড়লে মিমো তাঁকে বলপূর্বক তাঁর সাথে সহবাস করেন। এরপর মিমো তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে 2018 অবধি তাঁর সাথে সম্পর্ক রাখেন এবং এর মধ্যে বহুবার তরুণীর অনিচ্ছাসত্ত্বেও তাঁর সাথে সহবাস করেন।
লাগাতার ধর্ষণের ফলে তরুণী গর্ভবতী হয়ে পড়লে মিমো তাঁকে জোর করে ওষুধ খাইয়ে তাঁর গর্ভপাত করান। এরপর তরুণী মিমোকে বিয়ে করার কথা বললে মিমো তাঁদের সম্পর্ককে অস্বীকার করেন। ইতিমধ্যে 2018 সালে অভিনেত্রী মদালসা শর্মাকে বিয়ে করেন মিমো। নির্যাতিতা তরুণী মিমোর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁর অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। এমনকি মিঠুনের স্ত্রী যোগিতা বালি নির্যাতিতাকে হুমকি দেন। নির্যাতিতা তরুণী দিল্লী চলে যান। দিল্লির রোহিণী আদালতে তিনি একটি মামলা রুজু করেন। আদালত প্রাথমিক তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দেন। ফলে মুম্বই-এর ওশিওয়াড়া থানা তরুণীর অভিযোগ নিতে বাধ্য হয়।
আইপিসি সেকশনস 376 অনুসারে,ধর্ষণ, 376(2) অনুসারে বারংবার ধর্ষণ, 328 অনুসারে, বিষ খাওয়ানোর চেষ্টা, 417 অনুসারে, প্রতারণা , 506 অনুসারে, ভয় দেখানো, 34 অনুসারে, কমন ইনটেনশনস-এর অভিযোগে মিমো ও তাঁর মা যোগিতা বালির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে, বলে জানিয়েছেন সিনিয়র পুলিশ ইন্সপেক্টর দয়ানন্দ এইচ বাঙ্গার। এখনও পর্যন্ত মিঠুন চক্রবর্তীর পরিবারের তরফে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।