আধার কার্ড অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নথি। নতুন মোবাইল সংযোগ পাওয়া থেকে শুরু করে কোনও সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নেওয়া, আধার কার্ড ছাড়া কাজ হয় না। তবে অন্য কারও আধার কার্ড ব্যবহার করলে বা আধারের অপব্যবহার করলে খারাপ পরিণতি হতে পারে। এর পাশাপাশি আপনি যদি একাধিক আধার কার্ড তৈরি করে থাকেন তবে আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
বেশিরভাগ মানুষই জানেন না যে আধার কার্ডের অপব্যবহার বা জালিয়াতির ব্যবহার বেআইনি এবং যারা এটি করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আধার কার্ডের অপব্যবহার হলে ৩ বছর পর্যন্ত জেল এবং হাজার হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক আধার কার্ডের অপব্যবহার করলে কী ধরনের ব্যবস্থার সম্মুখীন হতে হবে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowতালিকাভুক্তির সময় মিথ্যা ডেমোগ্রাফিক বা বায়োগ্রাফিক তথ্য দিলে ৩ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে। এছাড়াও, আধার কার্ডধারীর বায়োমেট্রিক বা জনসংখ্যাতাত্ত্বিক তথ্য ভুলভাবে ব্যবহার বা পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে, ৩ বছর পর্যন্ত জেল বা ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হতে পারে। আধার কার্ড সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহের জন্য কোনও সংস্থা বা সংস্থা হিসাবে মানুষের পরিচয় ভুলভাবে উপস্থাপন করা এবং তথ্য সংগ্রহ করাও অবৈধ।
এটি করার জন্য কোনও ব্যক্তিকে ৩ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা সংস্থাকে ১.১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। তালিকাভুক্তির সময় সংগৃহীত তথ্য ভাগ করে নেওয়া বা বিক্রি করার ক্ষেত্রে, কোনও ব্যক্তি বা এজেন্টকে ৩ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা যেতে পারে। একই সঙ্গে কোম্পানিকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে।