নিউজরাজ্য

মিঠুন জানালেন, “৩৮ জন তৃণমূল বিধায়ক যোগাযোগ রাখছেন”, পাল্টা “কিছু জানি না” বলে দায় এড়ালেন শুভেন্দু অধিকারী

বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বদের মধ্যে অন্তর্দন্দের ছবি ফের একবার স্পষ্ট হল

Advertisement

বঙ্গ রাজনীতিতে দলবদল প্রসঙ্গ কিছুমাস আগে বিধানসভা নির্বাচনের সময় ট্রেন্ড হয়ে উঠেছিল। একের পর এক তৃণমূল নেতা দল ছেড়ে গেরুয়া দলের সাথে পথ চলার স্বপ্নের কথা জানাচ্ছিল। তবে বিধানসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরকে বিপুল ভোটে পরাজিত করার পর তৃণমূল নেতাদের দলবদল তো বন্ধ হয়েই গেছে, উল্টে অনেক দলবদলু আবার ফিরে এসেছে আপন ঘরে। তবে বর্তমানে শিক্ষক নিয়োগ মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে কালিমালিপ্ত হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের ভাবমূর্তি। আর তার মাঝেই আজ হঠাৎ করে রাজনীতির ময়দানে সক্রিয় হয়ে বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী দাবি করেছেন যে ৩৮ তৃণমূল বিধায়ক বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। সরাসরি ২১ জন্য যোগাযোগ রাখছে মিঠুন চক্রবর্তীর সাথেই।

তবে মিঠুন চক্রবর্তীর এই মন্তব্য নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল শুরু হতেই বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সাফ জানিয়েছেন, “উনিই বলেছেন। উনি দায় নেবেন। আমি এই সম্পর্কে তেমন কিছু জানি না।” স্বভাবতই বিরোধী দলনেতার এমন মন্তব্য চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে এনেছে ঘটনাটিকে। এক কথায় বলা যেতে পারে ফের জনগণের সামনে স্পষ্ট হয়েছে বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বদের মধ্যে ঐক্যতার অভাব। দলের অন্দরে এবার ফাটল যে আরো চওড়া হলো তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

আজ বুধবার হেস্টিং ভবনে একদিকে সতীশ ধন্দ এবং অন্যদিকে রুদ্রনীল ঘোষকে নিয়ে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। আর অন্যদিকে অস্থায়ী রাজ্যপাল লা গনেশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি সেখানে গিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্ত্রিত্ব অপসারণের দাবি তোলেন। তবে রাজভবন থেকে বেরিয়ে মিঠুনের দাবি শুভেন্দু অধিকারীকে বলা হলে তিনি জানান, “কে বলেছেন এমন কথা? আমি জানিনা এরকম কিছু।” এরপর মিঠুন চক্রবর্তী কথাটি বলেছে জানানো হলে তিনি ফের সাফ বলেন, “উনি বলেছেন যখন তখন উনি দায় নেবেন।”

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আজ দুপুরে মিঠুন চক্রবর্তীর সাংবাদিক বৈঠকের শেষে খেলা ঘোরার ইঙ্গিত দেন। তিনি বৈঠক শেষে বলেন, “৩৮ জন তৃণমূল বিধায়ক আমাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। আমার সাথেই সরাসরি যোগাযোগ রাখছে ২১ জন।” তবে বিজেপি অন্দরের এমন গুরুত্বপূর্ণ খবর নাকি জানেন না শুভেন্দু অধিকারী। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে হারের পর ফের আজকে বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বের ছবি স্পষ্ট হল।

Related Articles

Back to top button