এপ্রিল মাসের শুরু থেকে গোটা ভারতজুড়ে করোনা সংক্রমণ দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ছে। এখন প্রায় প্রতিদিন সাড়ে ৩ লাখ সংক্রমণ হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে গোটা দেশের মানুষ উদ্বেগে রয়েছে তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে। এরকম ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যেই নির্বাচন চলছে বাংলায়। ইতিমধ্যেই ছয় দফা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে এবং বাকি রয়েছে আর দুই দফা নির্বাচন। তবে করোনা সংক্রমনের বাড়বাড়ন্ত দেখে নির্বাচন কমিশন জনসভা করার পর নির্দিষ্ট নির্দেশিকা জারি করেছিল। কিন্তু আজ মালদার বৈষ্ণবনগরে বিজেপির তারকা ভোট প্রচারক মিঠুন চক্রবর্তীর জনসভায় উপচে পড়া ভিড় দেখা গিয়েছিল। সেখানে দূরত্ব বিধি না মেনে মাস্ক ছাড়াই মানুষ জমায়েত করেছিল। তা দেখে উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছে জেলাশাসক।
গত বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির টিভি রাধাকৃষ্ণণ নির্বাচন কমিশনকে কড়া উপদেশ দিয়ে বলেছিল যে নির্বাচন কমিশনের এই মুহূর্তে চূড়ান্ত ক্ষমতা আছে। তারা তা ব্যবহার করছে না। শুধুমাত্র সার্কুলার দিয়ে দায়িত্ব ঝেড়ে ফেললে চলবে না। এছাড়া হাইকোর্টের ভৎসনার পর নড়েচড়ে বসেছিল নির্বাচন কমিশন। তারা তখন থেকেই সমস্ত সভা-সমিতি এবং রোড শো বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল। এমনকি সাইকেল বাইক কিনবো গাড়ি রালির জন্য আগাম অনুমতি নিতে হবে এমন জানানো হয়েছিল। এছাড়া বলা হয়েছিল কোন স্থানে পর্যাপ্ত জায়গা থাকলে সেখানে সোশ্যাল ডিসটেন্স বজায় রেখে সর্বোচ্চ ৫০০ জন নিয়ে জনসভা করা যাবে।
তবে আজকে মালদার বৈষ্ণবনগরে মিঠুনের জনসভায় সোশ্যাল ডিসটেন্স বজায় রাখার কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। কাতারে কাতারে ভিড়ের মাঝেই হয়েছে জনসভা। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় কটাক্ষ করে বলেছেন, “আজকে ওই জনসভায় ৫০০ জনের বেশি জমায়েত হয়েছে। সেখানে একদিকে যেমন নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ হয়েছে ঠিক অন্যদিকে কোভিড বিধিও ভঙ্গ হয়েছে। দ্রুত মিঠুনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”