বাপ্পি লাহিড়ীই প্রথম আবিষ্কার করেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তীকে। তিনিই প্রথম বুঝতে পেরেছিলেন তার প্রতিভা কিভাবে কাজে লাগাতে হবে। তার ‘জিমি জিমি’ ও ‘ডিস্কো ডান্সার’ গানের সাথে মিঠুনের অভিনয় ও নাচ ভীষণভাবে আকর্ষণ করেছিল দর্শকদের। এই দুটি গান মিঠুন চক্রবর্তীর কেরিয়ারের অন্যতম দুটি মাইলস্টোন বলা যায়। বাপ্পি লাহিড়ীর কণ্ঠ ও মিঠুন চক্রবর্তীর নাচে সেইসময়ে মোহিত করেছিল সমস্ত দর্শকদের। তবে যার জন্য মিঠুন চক্রবর্তী বলিউডের ‘মিঠুন চক্রবর্তী’ হতে পেরেছিলেন তারই শেষ যাত্রায় উপস্থিত ছিলেন না তিনি।
অভিনেতার অনুপস্থিতি নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে মিডিয়াতে। তবে এই প্রসঙ্গে অভিনেতা জানিয়েছেন, তিনি প্রথমত বম্বেতে নয় ব্যাঙ্গালোরে ছিলেন । আর দ্বিতীয়ত তিনি তার ‘ডিস্কো কিং’কে ঐভাবে শায়িত অবস্থায় দেখতে পারতেন না। তার পুরনো ছবিটাই থাকুক তার মনে। তার প্রয়াণে রীতিমতো শোকোস্তব্ধ হয়ে পড়েছে গোটা সঙ্গীত জগত। একেবারে ছোট থেকেই সঙ্গীতের সাথে পরিচয় তার। তবলা বাজানো দিয়ে শুরু করলেও পরবর্তীকালে সঙ্গীত পরিচালক ও গায়ক হিসেবে এক বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন বাপ্পি লাহিড়ী। একটা সময় টলিউড ও বলিউড একসাথে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন এই মানুষটি।
এই মুহূর্তে কালার্সের অন্যতম জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো হল ‘হুনারবাজ’। সম্প্রতি এই শোয়ের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মিঠুন চক্রবর্তীর দুই ছেলে নমাশি ও মিমো। আর এই দিনেই অফ ক্যামেরা বাপ্পি লাহিড়ীর ‘ডিস্কো ড্যান্সার’ গানে নিজের দুই ছেলের সাথে নাচলেন অভিনেতা। মিঠুন চক্রবর্তী এই মুহূর্তে ‘হুনারবাজ’ পরিণীতি চোপড়া ও কারাণ জোহারের সাথে বিচারক আসনে রয়েছেন।
উল্লেখ্য সম্প্রতি ‘ব্যাড বয়’ ছবির হাত ধরে বড় পর্দায় দেখা দিতে চলেছেন মিঠুন চক্রবর্তীর ছেলে নমাশি চক্রবর্তী। সম্ভবত নিজের ছবির প্রচারেই ‘হুনারবাজ’এর মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন তিনি। আর এই দিনেই এই নাচের ভিডিও নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় শেয়ার করে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বাপ্পি লাহিড়ীকে।
এই ভিডিওটি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, বাপ্পি লাহিড়ী সকলের মধ্যে আজীবন থেকে যাবেন। আনন্দ করেই এই ভিডিওটি বাপ্পি লাহিড়ীকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তারা। বাপ্পি লাহিড়ীর ছেলে বাপ্পা লাহিড়ীকে এই ভিডিওতে মেনশন করে দিয়েছিলেন নমাশি। এছাড়াও ফরহা খান কুন্দ্রাকে ভিডিওটি ক্যামেরাবন্দি করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদও জানিয়েছেন।