একুশে বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গেছে বাংলায়। ইতিমধ্যেই চতুর্থ দফা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। আর বাকি ৪ দফা নির্বাচন। এই বাকি চার দফা নির্বাচনের জন্য রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দল তাদের পূর্ণশক্তি দিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রচারে ঝড় তুলছে। এবার পূর্ব বর্ধমানের রায়নায় গতকাল অর্থাৎ রবিবার প্রচার করতে গিয়েছিলেন বিজেপির তারকা ভোটপ্রচারক মিঠুন চক্রবর্তী। তিনি প্রচার করতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে গলায় সুর তুলেছেন এবং নাম না নিয়ে শীতলকুচি ঘটনার দায় চাপিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে।
এদিন জনসভায় উপস্থিত থাকে মিঠুন চক্রবর্তী নাম না নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বলেছেন, “শীতলকুচি তে যা ঘটেছে তা খুবই দুঃখজনক। মৃতদের প্রতি প্রনাম জানাই আমি। কিন্তু কেন এইসব উস্কানি দিয়ে চারজন মায়ের কোল খালি করে দেওয়া হল? আপনাদের বলছি, এইসব ফাঁদে একদম পা দেবেন না। কেউ থাকবে না আপনার সাথে। আওয়াজ তুলবে, উস্কানি দেবে আর তারপর মায়ের কোল খালি করে দেবে। কাজ মিটলে ওরা ওদের নিজেদের বাড়ি চলে যায়। কেন এসব করা হচ্ছে, সিংহাসন আগলানোর এত লোভ? যাই হোক আমি আপনাদের উপদেশ দিচ্ছি যে এইসব ফাঁদে একদম পা দেবেন না।”
এছাড়াও তিনি বিজেপির সুনাম করে এদিন জনসভায় বলেছেন, “আমি আপনাদের গ্যারান্টি দিচ্ছি বাংলায় বিজেপি এলে আর কখনো কোনদিন দাঙ্গা-হাঙ্গামা হবে না। বাংলায় যে ধরনের রাজনীতির উদ্ভব হয়েছে তা দ্রুত বন্ধ করা উচিত এবং সাধারন মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে সোনার বাংলা গড়ার কান্ডারী হয়ে উঠতে পারে তা দেখা উচিত। সবাইকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে হবে।” এছাড়াও তিনি দুয়ারে রেশন প্রকল্পের সমালোচনা করে বলেছেন, “ধরে নেওয়া যাক প্রত্যেকটি মানুষ মাসের ১ তারিখে রেশন তুলে নিয়ে আসে। গোটা বাংলায় ৬ কোটি মানুষ রেশন নেয়। তাহলে কি মমতা দুয়ারে রেশন পৌঁছানোর জন্য ৬ কোটি মানুষকে কাজে দেবে? আর যতদিন না রেশন পাবে তাহলে মানুষের ঘরে কি উনুন জ্বলবে না? আসলে সবই বিজনেস প্ল্যান। ওরা রাজনীতি করতে আসেনি, এসেছে বিজনেস করতে। রাজনীতি কোন বিজনেস নয়, বরং রাজনীতি হলো সেবা। মাসে ১ কোটি টাকা কামাই হবে, তাই এটা চালু করছে ওরা।”