ফলতার তৃনমূল বিধায়ক তথা সর্বভারতীয় তৃণমূলের কোষাধক্ষ তমোনাশ ঘোষ আজ সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। মে মাস থেকেই তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৬০ বছর। বৃহস্পতিবার সকালে বাইপাসের ধরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গত ২২ মে তাঁর করোনা পজিটিভ ধরা পরে।
প্রথম থেকেই তাঁর তীব্র শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা ছিল। তাই হাসপাতালে ভর্তির পর তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। সূত্রের খবর, তাঁর সুগারের মাত্রা অনেক বেশি ছিল। ওষুধ দিয়ে তা কমানো হলেও সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায়। আর দীর্ঘদিন ভেন্টিলেশনে থাকার ফলে তাঁর গলায় সংক্রমণ ঘটে। সেই চিকিৎসাও চলে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁকে বাঁচানো যায়নি। তাঁর দুই মেয়েও করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
তমোনাশবাবু তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকেই দলে ছিলেন। টানা ৩৫ বছর তিনি যুক্ত ছিলেন। খুব মিশুকে ছিলেন তিনি। তাই অন্য দলের মানুষের সাথেও তাঁর ভালো সম্পর্ক ছিল। তমোনাশবাবুর মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করে টুইট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি তাঁর স্ত্রী ও দুই মেয়ে এবং পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী লেখেন,” খুব খুব দুঃখের খবর। তমোনাশ ঘোষ ফলতার তিনবারের বিধায়ক ও ১৯৯৮ সল্ থেকে দলের কোষাধক্ষ। আজ আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। দীর্ঘ ৩৫ বছর আমাদের সাথে ছিলেন। সাধারণ মানুষের প্রতি তিনি নিষ্ঠাবান ছিলেন। “