কলকাতা শহর দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। জানা গিয়েছে বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয়বাষ্প পশ্চিমী ও দক্ষিণ-পশ্চিমী হাওয়ার মাধ্যমে রাজ্যে ঢুকে পড়েছে। যার জেরে আগামী সপ্তাহে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। এছাড়া সক্রিয় মৌসুমী অক্ষরেখা গঙ্গানগর, আগ্রা, এলাহাবাদ, অম্বিকাপুর ও কেওনঝাড় হয়ে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। শুধু তাই নয় ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে গুজরাট, পূর্ব-উত্তরপ্রদেশ এবং রাজস্থানে। অন্যদিকে উত্তর-দক্ষিণ নিম্নচাপ অক্ষরেখা উত্তরপ্রদেশ থেকে বিদর্ভ পর্যন্ত বিস্তৃত। এর ফলে পূর্ব ও মধ্য ভারতের বিভিন্ন রাজ্যগুলিতে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেড়ে হয় ২৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়াও গতকাল বিকেল পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেড়ে ৩৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়েছিল। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৬২-৯০ শতাংশ। ফলে একপ্রকার অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হয়। তবে শুধু দক্ষিণবঙ্গই নয়, ভারী বৃষ্টির সর্তকতা উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং কালিম্পং এ ৭০-২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামীকাল থেকে মালদা এবং দুই দিনাজপুরে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত হতে পারে।
অন্যদিকে কর্ণাটক উপকূলে তৈরি হয়েছে ‘অফ শোর জোন’। যার প্রভাবে আগামী ৫ দিন গুজরাট, কঙ্কন, গোয়া, মহারাষ্ট্র এবং কর্ণাটক উপকূলে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এছাড়া আগামী ২৪ ঘণ্টায় কঙ্কন, গোয়া, মহারাষ্ট্র ও গুজরাতে রয়েছে ব্যাপক বৃষ্টির পূর্বাভাস। অর্থাৎ আগামী ৫ দিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা মধ্য-পূর্ব এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে।