অসহ্য মানসিক যন্ত্রনা শিকার তিনি। তাই ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত পাক পেসার মহম্মদ আমিরের। মাত্র ২৮ বছর বয়সে এই বাঁ-হাতি পেসার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে আলবিদা জানালেন। দেশের এক ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আমির জানান, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড তাঁকে দিনের পর দিন মানসিক নির্যাতন করেছে। যা আর নিতে না পেরে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। আমিরের এই অভিযোগ দেশে চাঞ্চল্য ফেলেছে। প্রশ্নের মুখে পিসিবির কর্তারাও।
২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে একদিনের ম্যাচ দিয়ে পাকিস্তানের জাতীয় দলে অভিষেক আমিরের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার কারণ হিসেবে বলেছেন, ‘আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ছি কারণ, দিনের পর দিন মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে হচ্ছিল। যা আর মেনে নিতে পারিনি। ২০১০-১৫ সাল পর্যন্ত এই একই সমস্যার মুখে পড়েছিলাম। ভেবেছিলাম, পরিস্থিতি হয়তো পাল্টাবে। তা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে আমার পক্ষে খেলা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।’
পাক ক্রিকেট বোর্ডের দাবি, তাঁরা আমিরের ওপর অনেক বিনিয়োগ করেছে। যদিও আমির তা অস্বীকার করেছেন। পিসিবি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘বোর্ডকে আমির জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার তার কোন ইচ্ছা বা উদ্দেশ্য নেই। এটি আমিরের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত, যা পিসিবি সম্মান করে।’
সাদা বলের ক্রিকেটে মনোনিবেশ করার জন্য আমির গত বছর টেস্ট ছেড়েছিলেন। স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে তিনি ২০১০-১৫ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছর খেলেননি। প্রসঙ্গত, ২০০৯ টি-২০ বিশ্বকাপে পাকিস্তান দলে ছিলেন আমির এবং ২০১৪ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতার সময়ও পাক দলের হয়ে খেলেছেন। বর্তমানে শ্রীলঙ্কায় প্রিমিয়ার লিগ খেলতে গিয়েছেন। জানান, পাকিস্তানে ফিরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার কারণ আরও পরিস্কার ভাবে জানাবেন।