Trending NewsAppleNYT GamesCelebrity NewsWordle tipsBig 12 SoccerCelebrity BreakupsKeith UrbanUnited Nations Day

মারা গেলেন ভারতীয় ফাস্ট বোলার মোহাম্মদ সিরাজ এর বাবা, তবে শেষকৃত্যে থাকতে পারছেন না সিরাজ

Updated :  Saturday, November 21, 2020 10:06 AM

পরলোক গমন করলেন ভারতীয় দলের জোরে বলার মোহাম্মদ সিরাজের বাবা। শুক্রবার হায়দ্রাবাদের একটি হাসপাতালে মোহাম্মদ সিরাজ এর বাবা মোহাম্মদ ঘাউসের মৃত্যু হয়। তবে সিরাজ বর্তমানে ভারতীয় দলের সাথে অস্ট্রেলিয়া সফরে গেছেন। সেই কারণে বাবার শেষকৃত্যে থাকতে পারছেন না সিরাজ। মৃত্যুকালে, সিরাজের বাবার বয়স হয়েছিল মাত্র ৫৩।

সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে সিরাজ জানিয়েছেন,”আমার বাবার ইচ্ছে ছিল, ছেলে যাতে দেশের মুখ উজ্জ্বল করে। বাবার ইচ্ছে পূরণ করার জন্য আমি আমার সব চেষ্টা চালিয়ে যাব। আমার ছোটবেলায় আমার বাবাকে অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছিল। অটো চালিয়ে আমাকে ক্রিকেট খেলা শেখানো তার কাছে সহজ ছিল না। কিন্তু তাও, তিনি আমার ওপর আর্থিক অভাবের প্রভাব তিনি এতোটুকু পড়তে দেননি। তার স্বপ্ন ছিল, আমি যাতে দেশের হয়ে খেলতে পারি। যেভাবে আমি তারেই স্বপ্ন পূরণ করছি এবং থেকে আনন্দ দিতে পেরেছি, তাতে আমি অত্যন্ত খুশি”।

মোহাম্মদ সিরাজ এর বাবা পেশায় ছিলেন একজন অটোচালক। কিন্তু ছেলের স্বপ্ন পূরণের জন্য তিনি কোনো খামতি রাখতে দেননি। সামান্য রোজগার দিয়েই যতটা সম্ভব ছেলের ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে চেষ্টা করেছিলেন। সিরাজ সংবাদমাধ্যমকে আরও জানিয়েছেন,” ভারতীয় দলের কোচ রবি শাস্ত্রী এবং অধিনায়ক বিরাট কোহলি তাকে তার বাবার মৃত্যুর খবর দেন। তারা আমাকে শক্ত থাকতে বলেছেন এবং সমস্ত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।”

দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছিলেন সিরাজের বাবা মোহাম্মদ ঘাউস। কিছুদিন আগে তাকে হায়দ্রাবাদের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও শুক্রবার তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সিরাজ আমাদের আরও জানিয়েছেন,”ম্যাচের কয়েকদিন আগে বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। এই কারণে আমি অত্যন্ত উদ্বেগে ছিলাম। কিন্তু ম্যাচের পরে ফোন করে আমি জানতে পারি, বাবা বাড়িতে আছেন। সেই সময় তিনি আমার সাথে কথাও বলেছিলেন। সেদিন আরসিবি জয়লাভ করেছিল। তাতে আমার বাবা অত্যন্ত আনন্দিত হয়ে আমাকে জানিয়েছিলেন, সকলে তাকে ফোন করে বলছেন, তোমার ছেলে আইপিএলে খুব ভালো খেলছে। বাবা অত্যন্ত খুশি ছিলেন। হায়দ্রাবাদের সমস্ত খবরের কাগজে আমার ছবি ছাপা হয়েছিল।”