রাগ-অভিমান ভুলে মোহরকে কাছে টেনে আদরে ভরালেন শঙ্খ, তুমুল ভাইরাল ভিডিও
সম্প্রতি ‘মোহর’ ধারাবাহিকের একটি দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল ভাইরাল হয়েছে। শঙ্খ ও মোহরের একজন ফ্যান ভিডিওটি শেয়ার করেছেন। কিন্তু তিনি বলেছেন, শঙ্খ-মোহরের রোম্যান্টিক দৃশ্য দেখে কেউ যেন কিছু মনে না করেন। সেই বেনামী ফ্যান জানিয়েছেন, তাঁকে সবাই ভিডিও পোস্ট করতে বলেছে, তাই তিনি ভিডিও পোস্ট করেছেন। তবে ভিডিওটি তাঁরও খুব প্রিয় বলে জানিয়েছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ার ইতিহাসে এইরকম ফ্যান মনে হয় নেই যিনি ভিডিও শেয়ার করার পর অপরাধ ‘কনফেস’ করেন। তাঁকে যদি পাওয়া যায়, তাহলে তাঁকে নিয়েই হয়তো একটি মজাদার ভিডিও হতে পারে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মোহর জলপাইগুড়ির ট্রেনে ওঠার আগেই এসিপির সাহায্যে দেখা হয় শঙ্খ ও মোহরের। মোহরের মানভঞ্জন করে শঙ্খ। যথারীতি শুরু হয় শঙ্খ ও মোহরের রোম্যান্টিক দৃশ্য।
সাধারণ ঘরের মেয়ে মোহরের জীবন সংগ্রাম নিয়ে তৈরী মোহরের চিত্রনাট্য। তবে এই মুহূর্তে মোহরে চলছে টানটান প্লট। কিছুদিন আগেই দেখানো হয়েছে ‘মোহর’-এর নায়ক এবং মোহরের স্বামী শঙ্খদীপের হার্ট অ্যাটাক হয়েছে এবং সে হাসপাতালে ভর্তি। একসময় টিআরপি রেটিংয়ে ‘মোহর’ ছিল সবার প্রথমে। কিন্তু মোহর ও শঙ্খের বিয়ের দৃশ্যের পর থেকেই তা ক্রমশ নিম্নমুখী। চিত্রনাট্যকার আপাতত শঙ্খদীপকে হাসপাতালে পাঠিয়ে টিআরপি পুনরুদ্ধার করার চেষ্টায় রয়েছেন।
কলেজ পড়ুয়া মোহর এবং কলেজের অধ্যাপক শঙ্খদীপের ঝগড়া থেকে প্রেম এবং তারপর বিয়ে। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই মোহর ও শঙ্খদীপ কোয়ালিটি টাইম কাটানোর বদলে সমস্যার সমাধান করে যাচ্ছে। তার উপর তাদের মাঝখানে ঢুকেছে অ্যান্টি হিরোইন শ্রেষ্ঠা ও শঙ্খদীপের কাকা যারা মোহর ও শঙ্খকে আলাদা করে দিতে চায়। তাদের ষড়যন্ত্রে মোহর ও শঙ্খদীপের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়।
ফলে মোহর ও শঙ্খদীপ আলাদা থাকতে শুরু করে। কিন্তু পরে মোহর নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করলে শঙ্খদীপ মোহরকে বাড়ি ফিরে আসতে বলে। মোহর বাড়ি ফিরতে রাজি হয় না। শঙ্খদীপ চলে যায়।এরপর ইন্সপেক্টর মোহরকে ফোন করে বলে, শঙ্খদীপ হার্ট অ্যাটাক হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এটাই স্বাভাবিক ছিল। এরকম চিত্রনাট্য হলে তো হার্ট অ্যাটাক হবারই কথা।যাই হোক, আপাতত দর্শকরা শঙ্খদীপের হার্ট অ্যাটাকের প্রোমো দেখে মানসচক্ষে ভেবে ফেলেছেন, মোহর তার স্বামীর সেবা করছে। আপাতত চিত্রনাট্যকারও তাই লিখছেন। এবার দেখা যাক, শঙ্খদীপের হাসপাতাল-যাত্রা না শঙ্খ-মোহরের রোম্যান্টিক দৃশ্য, কোনটা টিআরপি পুনরুদ্ধার করার ক্ষেত্রে সফল হয়। তবে যদি, এইসব ঘটনা দিয়েও টিআরপি হাই না করা যায়, তাহলে হয়তো দেখা যাবে, মোহর বা শঙ্খর প্লাস্টিক সার্জারি ট্রাই করা হবে অথবা কাহিনী হয়তো একেবারে ত্রিশ বছর লিপ নিয়ে নিল। যাই হোক আপাতত সব ঝড় সামলাতে হবে ‘মোহর’ সোনামণি সাহা(sonamoni saha) ও ‘শঙ্খ’ প্রতীক সেন( pratik sen)-কে। বাকি ‘রব রাখা’।