কলকাতাখেলানিউজফুটবল

সামাজিক দূরত্ববিধি শিকেয় তুলে গ্র্যান্ড সেলিব্রেশনের মাতলেন বাগান সমর্থকেরা

Advertisement

কলকাতা: যেখানে উৎসবের মরশুমে করোনা সুনামির আতঙ্কে রয়েছেন রাজ্যে চিকিৎসকেরা, সেখানে সামাজিক দূরত্ববিধি, করোনা বিধি সব কিছুকে উপেক্ষা করে কার্যত এক উৎসবে মাতল মোহনবাগান সমর্থকরা। পুজোর আগেই আই লিগ ট্রফি আসার কথা ছিল মোহনবাগান তাঁবুতে। কিন্তু এই ট্রফি ঘিরে যে এত জনসমাগম হবে, তা বোধ হয় টুটু বসু, সৃঞ্জয় বসুরা আচ করতে পারেননি। সামাজিক দূরত্ববিধি, করোনা বিধিকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে শহরের বুকে আই লিগ ট্রফি হাতে উল্লাসে মেতে উঠল সবুজ-মেরুন সমর্থকরা। এরপরই করোনা সংক্রমণে যে জোয়ার আসতে চলেছে, তা কী আর বলার অপেক্ষা রাখে? বোধ হয় রাখে না।

রবিবাসরীয় সকালে লিগ চ্যাম্পিয়ন ট্রফি তুলে দেওয়া হয় মোহনবাগানের হাতে। সামাজিক দূরত্ববিধি বা করোনা বিধি মেনেই শহরের এক পাঁচতারা হোটেলে ক্লাব কর্তৃপক্ষের হাতে এই ট্রফি তুলে দেওয়া হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, বাগান সভাপতি টিটু বসু, বাগান সচিব সৃঞ্জয় বসু, বাগান অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত এবং আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। এআইএফএফ-এর তরফ থেকে উপস্থিত ছিলেন সুনন্দ ধর। এত পর্যন্ত সব ঠিকই চলছিল। কিন্তু তারপরেই নিমেষের মধ্যে চিত্রটা পুরো বদলে গেল। বাস্তব পরিস্থিতিকে কার্যত ভুলে সেলিব্রেশনে মেতে উঠলেন বাগান সমর্থকরা।

কিন্তু আদৌ কি এটা কোন গ্র্যান্ড সেলিব্রেশন? নাকি করোনাকে নিজেদের শরীরে আমন্ত্রণ জানানোর প্ল্যাটফর্ম? এমনটাই প্রশ্ন তুলেছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। শহরের একাংশের আবার মত, সাতমাস পর ময়দানের প্রাচীন এই ক্লাব ট্রফি ঘরে তুলল। তাই হয়তো নিজেদের আবেগ ধরে রাখতে পারেনি বাগান সমর্থকেরা। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে আবেগ বড় নাকি জীবন? যারা আজকে এই উল্লাসে নিজেদেরকে মাতিয়ে তুলল, তারা যদি করোনায় আক্রান্ত হয়, তাহলে এই উল্লাসের কী কোনও মানে থাকবে? এই প্রশ্নই এখন উঠছে ওয়াকিবহাল মহলে।

 

Related Articles

Back to top button