ধনী ব্যক্তিদের কথা বলতেই ভারতের মধ্যে সবার আগে যাদের নাম আসবে তার মধ্যে অন্যতম হলেন রিলায়েন্স গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের সহ কর্ণধার মুকেশ আম্বানি। তার এবং তার স্ত্রী নীতা আম্বানির বিলাসবহুল জীবন যাপনের ব্যাপারে অনেকেই ইতিমধ্যেই জানেন। মুম্বাইয়ের অ্যান্টিলিয়ার বাড়িতে ইতিমধ্যেই দেশ-বিদেশের বহু বিলাসবহুল জিনিস রয়েছে। মুকেশ আম্বানির স্ত্রী নিতা আম্বানি খুবই দামী দামী জিনিস ব্যবহার করে থাকেন এবং তাদের রহন সহন সাধারণ মানুষের থেকে অনেকটাই আলাদা।
তার এক একটা শাড়ির দাম থাকে কোটি টাকার ওপরে, মোবাইল এবং জুয়েলারির দাম প্রায় লক্ষ লক্ষ টাকা। তবে সম্প্রতি মুকেশ আমানি একটি নতুন গাড়ি কিনলেন যার দাম ১৮ কোটি টাকা। সম্প্রতি মুকেশ আম্বানি ইন্টারন্যাশনাল গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি রোলস রয়েস কোম্পানির কালিনান নামের একটি গাড়ি কিনলেন, যা তিনি রেজিস্টার করিয়েছেন নিজের নামে। তার পাশাপাশি মুকেশ আম্বানি এবং তার স্ত্রী নিতা আম্বানি এই গাড়িকে আরো বেশি বিলাসবহুল ভাবে তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন। সমস্ত ধরনের রাস্তার উপরে এই গাড়ি চলতে পারে খুব সহজেই।
এই গাড়িতে টাস্কান সান কালার স্পোর্টিং ডি১২ ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। এই গাড়ির ক্ষমতা হলো ৫৬৪ ব্রেক হর্স পাওয়ার অর্থাৎ বিএইচপি। এই গাড়িতে ১২ লক্ষ টাকার বিশেষ নম্বর প্লেট বসানো হয়েছে। সাধারণত তিনি বুলেটপ্রুফ গাড়ি ব্যবহার করতে বেশি পছন্দ করেন এবং স্বাভাবিক ভাবে এই নতুন গাড়িটিও একেবারে বুলেট প্রুফ। তার সঙ্গেই তিনি যথেষ্ট নিরাপত্তা তৈরি করেছেন। মুকেশ আম্বানির বাড়িতে বিএমডব্লিউ i8 গাড়িটি রয়েছে কিন্তু তিনি এই গাড়িতে ওঠেন না, কারণ তার নাকি এই গাড়ির দরজা নিয়ে সমস্যা হয়।
এই কারণেই এই নতুন গাড়ি কেনা মুকেশ আম্বানির। এই গাড়ির নামের মধ্যে একটি শব্দ রয়েছে যেটি হল কালিনান। শোনা যায় পৃথিবীর সবথেকে কঠিনতম প্রাকৃতিক পদার্থ হল কালিনান, সহজ বাংলায় যাকে হীরে বলা হয়। রোলস রয়েস কোম্পানিটি তাদের এই গাড়ির নামের শেষে কালিনান শব্দটি ব্যবহার করেছে, যাতে বোঝানো যায় যে কোন পরিস্থিতিতে, যেকোনো রাস্তার উপর দিয়ে এই গাড়িটি সহজে চলতে পারে। যদি গাড়ি জলে পড়ে যায় তাহলেও এই গাড়ি যেন সহজে চলতে পারে সেই বিষয়টি ভালোভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে এই গাড়ির নাম থেকে। এছাড়াও গাড়িটি যেন সহজে চলতে পারে এবং গাড়িতে যেন কোনো রকম ক্ষতি না হয় তার জন্য আরামদায়ক এবং বহুমুখী ক্ষমতাসম্পন্ন এসইউভি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। রয়েছে প্রচুর এয়ার ব্যাগ এবং বিশ্বের সবথেকে ভালো সুরক্ষা প্রযুক্তি। মুকেশ আম্বানি এই গাড়িটি কিনেছেন নিজের ব্যবহারের জন্য যা বর্তমানে তার বাড়ির গ্যারেজে শোভা পাওয়ার জন্য প্রস্তুত।