একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচন শিয়রে এসে উপস্থিত হয়েছে। ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস তাদের ২৯৪ আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিলেও গেরুয়া শিবির ধাপে ধাপে তাদের প্রার্থী ঘোষণা করছে। প্রথমে বঙ্গ বিজেপি প্রথম ও দ্বিতীয় দফা ভোটের জন্য ৬০ আসনে প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা করেছিল। তারপর গত রবিবার দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা ভোটের জন্য ৬৩ আসনের প্রার্থী ঘোষণা করে গেরুয়া শিবির। গত রবিবার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করার সময় বিজেপি এমনিতেই চমক দিয়েছিল তিন সাংসদ ও এক মন্ত্রীকে বিজেপি প্রার্থী করে। তবে রাজ্যের মানুষকে চমকে দিতে আবারও একঝাঁক শীর্ষ নেতাদের প্রার্থী আসনে বসাচ্ছেন গেরুয়া শিবির।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে যে গতকাল রাতভর বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠক হয়। আর তাতেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন রাহুল সিনহা, মুকুল রায়, কল্যান চৌবে, সায়ন্তন বসুর মত প্রথম সারির বিজেপি নেতারা। জানা গিয়েছে, হয়তো হাবড়ায় প্রার্থী করা হবে রাহুল সিনহাকে। অন্যদিকে কৃষ্ণনগরের প্রার্থী হবেন মুকুল রায় এবং রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার প্রার্থী হবেন। অশোক লাহিড়ীকে বালুরঘাট থেকে দাঁড় করানো হতে পারে। তবে মতুয়া সম্প্রদায় অধিপতি শান্তনু ঠাকুরকে হয়তো নির্বাচনে প্রার্থী করা হবে না।
এছাড়াও জানা গিয়েছে, বিজেপির প্রথম সারির নেতা সায়ন্তন বসু এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে লড়বেন। দমদম থেকে তিনি নির্বাচন লড়তে পারেন। এছাড়া বিধাননগরে দাঁড়াতে পারেনি সব্যসাচী দত্ত এবং কামারপুকুর থেকে রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজারহাট গোপালপুর থেকে বিজেপি প্রার্থী হতে পারেন শমীক ভট্টাচার্য কল্যান চৌবে কৃষ্ণনগর দক্ষিণের গেরুয়া প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে লড়তে পারে। তবে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবার বিজেপি প্রার্থী তালিকায় জায়গা করে নিতে পারেনি। এরপর বিজেপি কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি তাদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করলে জানা যাবে আর কত জন শীর্ষ নেতা আছে বিজেপির নির্বাচনী স্কোয়াডে।