গত শনিবার মধ্যরাত থেকে তোলপাড় গোটা বলিউড। ফের বলিউডে মাদক যোগের ঘটনা। এবার
মাদক মামলায় নাম জড়িয়েছেন শাহরুখ -গৌরি পুতে আরিয়ান খান। আরিয়ান অভিনয় না করলেও তাঁর বাবা মায়ের নাম বলিউডে কতটা প্রভাবশালী তা সকলের জানা। যার ফলে ফের একবার বলিউডের মাদক-যোগ নিয়ে চলছে জোরদার সমালোচনা।
আরিয়ানকে গত শনিবার রাতে এক বিলাসবহুল ক্রুজের ‘রেভ পার্টি’ থেকে আটক করে কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ১৬ ঘন্টা টানা জেরার পর রবিবার গ্রেফতার করা হয় শাহরুখ-গৌরি পুত্রকে। গত সোমবার আদালতে নিয়ে
আদালতে আরিয়ানের স্বপক্ষে সওয়াল করেছেন রিয়া চক্রবর্তীর আইনজীবী সতীশ মানেশিন্দ। তবুও ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট এখনো আরিয়ানকে জামিন দেনননি। আগামী ৭ই অক্টোবর পর্যন্ত আরিয়ানকে এনসিবির হেফাজতেই থাকার নির্দেশ দেয় আদালত। ফের আজ আদালতে তোলা হবে অপরাধী আরিয়ানকে।
এখন এটাই দেখার এনসিবির তরফে আদালতে শাহরুখের বড় ছেলের হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য ফের কোনো আবেদন করা হয় কি না৷ তবে এসবের মাঝেই চাঞ্চল্যকর দাবি তুললেন এনসিপির মুখপাত্র তথা মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক। তিনি এই ঘটনার জন্য দোষারোপ করছেন বিজেপিকে। সঙ্গে এটাও দাবি করেছেন, আরিয়ান নয় বিজেপির নিশানায় ছিল শাহরুখ। নবাব প্রকাশ্যেই জানান,’পুরো ঘটনাটা সাজানো’, বলেই জানিয়েছেন নবাব। মহারাষ্ট্র সরকারকে বিপদে ফেলতে এনসিবিকে কাজে লাগাচ্ছে বিজেপি।
এর আগে কংগ্রেসের তরফেও এই দাবি করা হয়েছিল, গুজরাটের মুন্দ্রা বন্দরে আটক ৩০০০ কিলোগ্রাম হেরোইন উদ্ধারের মামলা থেকে দেশবাসীর নজর ঘোরাতেই এনসিবির এই প্রমোদতরী অভিযান। এখানেও পরোক্ষভাবে বিজেপির দিকেই নিশানা করা হয়েছিল। নবাব এদিন আরো বলেন, শাহরুখ খানকে পরবর্তী নিশানা করা হবে বলে অন্তত এক মাস আগে বিভিন্ন সাংবাদিকদের কাছে খবর ছিল। সঙ্গে শাহরুখ-পুত্রকে আটক করার পর আরিয়ানের সঙ্গে সেলফি তোলা ওই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির প্রসঙ্গও এদিন তোলেন তিনি।
জানা গিয়েছে, ওই অজ্ঞাগ ব্যক্তির নাম মণীশ ভানুশালী। যদিও এনসিবি জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি তাঁদের পরিচিত কেউ নন। তাই প্রশ্ন উঠছে, কে ওই ব্যক্তি? এনসিবির পরিচিত কেউ না হলে এই অভিযানের সময়তেই বা কী করছিল ওই ব্যক্তি। নবাব জানান, মনীশ বিজেপির সঙ্গে যুক্ত। অমিত শাহ ও নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর ছবি রয়েছে। যদিও নবাবের এই দাবি খারিজ করে দিয়েছেন মণীশ ভানুশালী।
মণীশ জানিয়েছেন তাঁর সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই। আর নবাবের এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন এনসিবি। তাঁরাবজানিয়েছে নবাবের এই কথাগুলি পুরোপুরি ভিত্তিহীন। এনসিবি-র ডেপুটি ডিজি জ্ঞানেশ্বর সিং জানিয়েছেন, ‘এনসিপি চাইলে আদালতে যেতেই পারে। তাঁরা সমস্ত প্রোটোকল মেনে এই কেসের তদন্ত করছেন। তাঁদের হাতে সমস্ত প্রমাণও আছে। এনসিবি স্পষ্ট করে দিতে চান বর্তমান ও ভবিষ্যতেও তাঁরা সমস্ত আইন মেনে স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করবেন।