শুভেন্দুর বিরুদ্ধে দায়ের হলো খুনের মামলা, জেরার মুখে পড়তে চলেছেন বিরোধী দলনেতা

এবারে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে দায়ের হল খুনের মামলা। শুভেন্দু অধিকারীর দেহরক্ষীর মৃত্যুর ঘটনায় কাঁথি থানায় এফআইআর দায়েরকরেছেন ওই মৃত ব্যক্তির স্ত্রী। ঘটনাটি ঘটেছিলো ২০১৮ সালে। ২০১৮ সালের ১৪ ই অক্টোবর গুলি লেগে প্রাণ হারিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারীর তৎকালীন দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তী। তিনি শুভেন্দুর দীর্ঘকালীন দেহরক্ষী ছিলেন। শুক্রবার সকালে সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মৃতের স্ত্রী সুপর্ণা কাঞ্জিলাল কাঁথি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। আর বলাই বাহুল্য অভিযোগের তীর সরাসরি রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর দিকে।

তবে ২০১৮ সালের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এখন ২০২১ সালে মামলা দায়ের করার কি কারণ? সেই প্রশ্নের উত্তরে সুপর্ণা কাঞ্জিলাল বলেছেন, শুভেন্দু অধিকারী প্রভাবশালী মানুষ তাই প্রথমে তিনি মুখ খুলতে পারেননি। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি বদলে যাওয়ায় তিনি সাহস করে মামলা দায়ের করতে পেরেছেন। আইন ব্যবস্থার কাছে তিনি তার স্বামীর মৃত্যুর সুবিচার চাইছেন।

গত ২০১৮ সালের ১৪ ই অক্টোবর স্কুলে কাজ করার সময় সুপর্ণা দেবী ফোন পান, তার স্বামী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তিনি জানতে পারেন যে তার স্বামীকে কাঁথি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা জানান, শুভব্রত বাবুর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত অবনতি হয়েছে, তাই তাকে তড়িঘড়ি কলকাতা নিয়ে যেতে হবে। এম্বুলেন্স পেতে দেরি হয়, আর এই কারনেই তার স্বামীর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ জানিয়েছেন সুপর্ণা কাঞ্জিলাল।

তবে, তদন্তকারীদের বক্তব্য, এই ঘটনায় কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীকে জেরার মুখে পড়তে হবে। এফআইআর-এ প্রশ্ন তোলা হয়েছে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কি এম্বুলেন্স আসতে দেরি হয়েছিল? এই ঘটনায় রহস্য রয়েছে। প্রথমত একজন প্রথম সারির রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের দেহরক্ষীকে গুলি করা হয়েছে। তার চিকিৎসার সবার আগে সাড়া দেওয়া উচিত কিন্তু, যেখানে শুভব্রত তার দীর্ঘদিনের দেহরক্ষী, তার গায়ে গুলি লাগার পরে কেন এম্বুলেন্স পেতে দেরি হয়েছে? তিন বছর পরে হলেও এ পুরনো মামলা নিয়ে কিন্তু অস্বস্তিতে পড়তে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী।