হোয়াটসঅ্যাপ পৃথিবীর অন্যতম জনপ্রিয়, সহজ ও নির্ভরযোগ্য বার্তাবহক। এটি অ্যাপটির মাধ্যমে পুরো পৃথিবী জুড়ে নিরাপদ ম্যাসেজ, ভয়েস কল ও ভিডিও কল করা যায়। কিন্তু বর্তমান সময়ে হ্যাকাদের নিশানায় হোয়াটসঅ্যাপ।
সম্প্রতি কিছু সময় ধরে শোনা যাচ্ছে, হোয়াটসঅ্যাপের ইউজারদের উপর কড়া নজরদারি চালিয়ে স্পাইওয়্যার ঢোকানের চেষ্টা করছে ইজরায়েলের এক সংস্থা। স্পাইওয়্যার হল এমন একটি সফটওয়্যার যার মাধ্যমে কোনো ব্যক্তির সমস্ত গোপনীয় তথ্য হ্যাকারদের কাছে চলে যায়।
আজ শনিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি অভিযোগ করেছেন তার ফোন ট্যাপ করা হচ্ছে এবং তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বলেন এবিষয়ে নজরদারি করা কথাও বলেন।
তিনি বলেন, ‘এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তারা (হ্যাকাররা) আমাদের ফোন থেকে সমস্ত তথ্য নিয়ে নিচ্ছে, এটা আমাদের গোপনীয় বিষয়ের ওপর আক্রমন করা। আমরা কারো সাথে কোনো কথা ভালো করে বলতে পারব না তাহলে।’ কলকাতার হেস্টিংস অঞ্চলে ছটপুজায় রিপোর্টারদের সামনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমার ফোন ট্যাপ করা হয়েছে, এটা আমি বারবার জানিয়েছি। এটা আমাদের সুরক্ষা লঙ্ঘন করছে। প্রধানমন্ত্রীর এবিষয়ে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের কথাও বলেন তিনি।’
ফেসবুকের মালিকানাধীন ম্যাসেজিং প্লাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ সম্বন্ধে তিনি বলেন,’আমি আগেও কর্তৃপক্ষকে বলেছিলাম এটা আমাদের গোপনীয়তা লঙ্ঘন করছে যা বিভিন্ন উকিল ও ন্যাশনালিস্টদের লক্ষ্য করছে।
গত ২৫ শে অক্টোবর ২০১৭ সালে মুখ্যমন্ত্রী নিজ নম্বরের সাথে আধার কার্ড যোগ করতে অস্বীকার করেন তিনি বলেন এটি কারো গোপনীয়তা হস্তক্ষেপের ষড়যন্ত্র। তার সাত মাস পর টেলিযোগাযোগ অধিদফতর তারা ঘোষনা করেন মোবাইল নম্বরেথ সাথে আধার যোগ বাধ্যতামূলক।
এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেন, ‘আমি আমার ফোন নম্বর আধার কার্ডের সাথে যোগ করতে চায়নি। আমি বুঝতে পেরেছিলাম এটা কেন্দ্রীয় সরকারের ষড়যন্ত্র। তারা চায় ফোন কল গুলো ট্যাপ করতে। তিনি আরো বলেন, ‘এটা খুব দঃখজনক সাধারণ মানুষেরা কেন্দ্র সরকারকে ভয় পায়। আধার কার্ডের সাথে ফোন নম্বর যোগ করে তারা স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যেও কথাবার্তাগুলো শুনতে চায়।’