প্রত্যেক বাঙালি একটা বছর অপেক্ষা করে থাকে দেবী দুর্গার আগমনের জন্য। ভাদ্র মাস শুরু হলেই সকলের মনে জেগে ওঠে এক নতুন অনুভূতি। এরপর আশ্বিনের শারদপ্রাতে বেজে ওঠে মায়ের আগমনী বার্তা। পুজোর এক দু মাস আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় কেনাকাটা ও ঘরঝাড়া। প্রত্যেক পাড়ায় পাড়ায় মণ্ডপে মণ্ডপে এই পুজো চলতে থাকে। অনেক বনেদি বাড়িতেও এই পুজো হয়ে আসছে।
নৈহাটির দাসপুরের দত্ত বাড়ির পুজো এ বছর অতিক্রম করল ২০০ বছর। এই দত্ত বাড়িতেই তৈরি হয় মায়ের প্রতিমা। ভোগ রান্না থেকে শুরু করে নাড়ু তৈরি, আলপনা দেওয়ার সব কাজ এই বাড়ির মেয়েরাই করেন। ২০০ বছরের পুরোনো এই পুজো।
দত্ত বাড়ির এই দুর্গা পুজোতে বলি দেওয়ার প্রথা রয়েছে। এই পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে শোনা যাচ্ছে আগে এই পুজোতে মহিষ বলি দেওয়া হতো। তবে এখন মহিষের পরিবর্তে ছাগ বলি দেওয়া হয়।
পরিবারের লোকজনের কাছে শোনা যাচ্ছে এই পুজোর নিয়ম একটু আলাদা। এই পুজো তান্ত্রিক মতে হয়ে থাকে। এই তান্ত্রিক মতে হওয়ার কারণেই এখানে বলি দেওয়ার প্রথা রয়েছে। সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী ও দশমী প্রত্যেকটি পুজোতেই এই বলি দেওয়া হয়। নিষ্ঠা সহকারে ও মন্ত্র পাঠ করে ৯ জন পুরোহিত এই পুজো করে থাকেন।
সকলের সহযোগিতায় এই পুজো দুশো বছর ধরে হয়ে আসছে। এই বাড়ির মহিলারা আনন্দ সহকারে সব আয়োজন করেন। মহিলারাই সকলে একসাথে পঞ্চপ্রদীপ ও ১০৮ টি প্রদীপ জ্বালান।
এই ভাবেই সকলে আনন্দে এই চার দিন ধরে দুর্গোৎসব পালন করে এবং আগামী বছরেও এইভাবে চলতে থাকবে।