মার্চ মাসের ৭ তারিখ রাজ্যে আসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। রাজ্য বিজেপি তরফে জানানো হয়েছে, এই জনসভায় ১০ লক্ষ মানুষের জনসমাগমের সম্ভাবনা রয়েছে। ঠিক করা হয়েছে রাজ্যের সমস্ত বাড়িতে নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেডে যাওয়ার আমন্ত্রণ পৌঁছে দেবেন এলাকার বিজেপি কর্মীরা। এছাড়াও বাড়ি বাড়ি আমন্ত্রণ পৌঁছানো নয়, প্রত্যেককে ফোন করে ব্রিগেডের জনসভা আসার আমন্ত্রণ বার্তা পাঠাবে বিজেপি। বাংলায় পরিবর্তন আনার লড়াইতে আপনিও সামিল হন এবং ব্রিগেড সমাবেশ কে ঐতিহাসিক করে তুলুন, এমনটাই জানানো হবে ওই ফোন কলে।
বিজেপি ব্রিগেড সমাবেশ হতে চলেছে আগামী ৭ মার্চ তারিখে। সেই উদ্দেশ্যে গোটা রাজ্যের মানুষ ঐ সভায় নজরবন্দি রাখছেন। বিজেপি টার্গেট নিয়েছে যেন বাংলা প্রত্যেকটি মানুষ ঐদিন ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছায়। এছাড়াও এই উদ্যোগকে সফল করার জন্য বুধবার থেকেই ঝাঁপিয়ে পড়েছে রাজ্য বিজেপি।
দলের হেস্টিংস কার্যালয় ব্রিগেডের প্রস্তুতি নিয়ে একপ্রস্থ বৈঠক হয়ে গেল বিজেপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মধ্যে। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অমিত মালব্য, অরবিন্দ মেনন, অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়, অমিতাভ চক্রবর্তী সহ দলের প্রথম সারির নেতারা। বিজেপি ঠিক করেছে, ৭ মার্চ তারা কলকাতা স্তব্ধ করে দেবে। সম্পূর্ণ কলকাতা জায়েন্ট স্ক্রিন এ ঢেকে দেওয়া হবে। গ্রামে গ্রামে জায়েন্ট স্ক্রিন বসানো হবে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড জনসভা টেলিকাস্ট করা হবে। এছাড়াও ব্রিগেড সমাবেশ যেন সফল হয় তার জন্য গ্রামে গ্রামে বাইক মিছিল করতে চলেছে বিজেপির যুব মোর্চার কর্মীরা। সব মিলিয়ে, বিধানসভা ভোটের আগে মোদির এই ব্রিগেড অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে।