হুগলি থেকে বাংলার তীব্র জলসঙ্কট নিয়ে কটাক্ষ মোদির
হুগলি: বাংলায় তীব্র জলসংকট, হুগলি (Hoogly) জগন্নাথদেবের (Jaganath Dev) জেলা? কেউ শান্তিনিকেতনকে (Santineketan) বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের (Rabindranath Tegore) জন্মস্থান বানিয়ে দেন তো কে হরিচাঁদ ঠাকুরকে বলে ফেলেন হরিশচন্দ্র। কেউ বলেন বাংলায় রাম রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করতে খোঁজ করেন দূর্গার পিতৃ পরিচয় নিয়ে। কার্যত বিজেপির (BJP) পরম্পরা মেনেই এদিন এগোল প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ। হুগলি জেলার সাহাগঞ্জে সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) তাঁর ভাষণের শুরুতেই বলে বসলেন, ‘জগন্নাথদেব’ এর জেলায় আসতে পেরে তিনি খুব খুশি। কিন্তু হুগলীতে জগন্নাথ দেব কি করছেন?
উল্লেখ্য, হুগলী জেলার কামারপুকুরে জন্মেছেন ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণদেব। আবার হুগলির পাশের জেলা নদিয়ায় জন্মেছেন শ্রীচৈতন্যদেব। কিন্তু জগন্নাথদেব কোথায়? প্রধানমন্ত্রী যখন হুগলীকে জগন্নাথদেবের জেলা বলে অভিহিত করছেন তখন ইতস্তত শুরু করেছেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। এছাড়াও এদিন বাংলায় জলের তীব্র সংকট খুঁজে পান প্রধানমন্ত্রী। যা বিজেপি ক্ষমতায় এলে মিটে যাবে বলে দাবিও করেন তিনি!
বাংলায় তীব্র জলসংকট, তিনি বলেন, “শুনলেও অবাক হতে হয় যে বাংলার গ্রামে গঞ্জে অন্তত দেড় থেকে দুই কোটি পরিবার পাইপ লাইনের মাধ্যমে জল পেত না। মাত্র ২ লক্ষ পরিবার পাইপ লাইনের মাধ্যমে বিশুদ্ধ জল পেত। তাই কেন্দ্র সরকার স্থির করে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছে দেওয়া হবে।”
তাঁর ব্যাখ্যা, “মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকারের পিছনে লেগে থেকে এখনও পর্যন্ত মাত্র ৯ লক্ষ বাড়িতে পাইপলাইনে জল পাঠানো সম্ভব হয়েছে। ১১০০ কোটি টাকা খরচই করতে পারেনি রাজ্য সরকার।” নরেন্দ্র মোদি এদিন বলেন,”পানীয় জলের সঙ্কট বাংলাতেও রয়েছে। সে জন্য বাংলার মা বোনেদের অনেক পরিশ্রম করতে হয়। দূর থেকে খাবার জল বয়ে আনতে হয়। তাই কেন্দ্রের সরকার জল জীবন মিশনের আওতায় বাংলার প্রতিটি বাড়িতে পাইপলাইনের মাধ্যমে পানীয় জল সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছিল।”
উল্লেখ্য, প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ নদী মাতৃক রাজ্য।আপাত ধারণা অনুযায়ী, এখানে শুদ্ধ পানীয় জলের অভাব হওয়ার কারণ নেই। কিন্তু বাস্তব হল, দুই ২৪ পরগনা, মালদহ, মুর্শিদাবাদ সহ বিস্তীর্ণ এলাকার জলে আর্সেনিক ও ফ্লোরাইড রয়েছে। কিন্তু তীব্র জলসংকট? অতি নিন্দুকেও এমন অভিযোগ ইতিপূর্বে করেন নি।