One Nation One Election: ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ পদ্ধতিতে সিলমোহর দিল মোদি সরকার, আসছে নতুন বিল
এক দেশ এক নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়ে বিরোধীরা বিরোধিতা চালিয়ে যাচ্ছে, তবে সরকার খুব একটা বেশি তাদের বিরোধিতা নিয়ে ভাবছে না বলেই মনে হচ্ছে
কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটে এবার পাস হয়ে গেল এক দেশ এক ভোট প্রস্তাব। বৃহস্পতিবার এই এক দেশ এক ভোট প্রস্তাবে সায় দিয়েছে মোদি মন্ত্রিসভা। এর ফলে, এক ধাক্কায় দেশের নির্বাচনের খরচ অনেকটা কমে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। সংসদের চলতি অধিবেশনে এই মর্মে বিল পেশ করতে চলেছে মোদি সরকার। প্রাথমিকভাবে শোনা যাচ্ছিল, শীতকালীন অধিবেশনে না হলেও হয়তো পরবর্তী অধিবেশনে এই বহু চর্চিত বিলটি পেশ করা হতে পারে। তবে চলতি অধিবেশনে সংসদে আসতে পারে এই বিল। লালকেল্লা থেকে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় এক দেশ এক নির্বাচন নিয়ে সওয়াল করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেছিলেন, ঘনঘন নির্বাচনে দেশের উন্নয়নমুলক কাজে বাধা পড়ে। প্রধানমন্ত্রী দাবী জানান, গোটা দেশ এই প্রক্রিয়াকে সমর্থন জানাচ্ছে। পাশাপাশি সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিকে এই বিষয়ে সমর্থন জানানোর আহ্বান করেন মোদি।
মোদির এই ঘোষণা করার পরেই, জল্পনা শুরু হয় এনডিও সরকারের চলতি মেয়াদেই এই এক দেশ এক নির্বাচন রীতি কার্যকর হতে চলেছে। এই বিষয়ে সরকার পক্ষ দাবি করছে, যদি এভাবে নির্বাচন করানো সম্ভব হয় তাহলে এক ধাক্কায় নির্বাচনের খরচ অনেকটা কমে যাবে সারা দেশের। এক দেশ এক নির্বাচনের বাস্তবতা খতিয়ে দেখতে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তখনও ক্ষমতায় ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরবর্তীতে গত মার্চ মাসে সেই কমিটি রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে এক দেশ এক নির্বাচনের পক্ষে একটি রিপোর্ট জমা দেয়।
যদিও বিরোধীরা প্রথম থেকেই এই এক দেশ এক নির্বাচনের বিরোধিতা করে এসেছে। বিরোধী নেতারা অভিযোগ করেছিলেন, ঘুরপথে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ধাঁচের ব্যবস্থা ভারতে চালু করতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, যা সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো এবং সংসদীয় গণতন্ত্রের পরিপন্থী। তবে বিরোধীদের আপত্তি নিয়ে সেভাবে মাথা ঘামাচ্ছে না সরকার। চলতি অধিবেশনের ১৪ তম দিনে এক দেশ এক ভোটের প্রস্তাবে সায় দিতে চলেছে গোটা ক্যাবিনেট। এরপরেই শীতকালীন অধিবেশনে এই বিল পেশ হতে চলেছে। আগামী ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এই অধিবেশন। তার মধ্যেই এই মহা গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস করিয়ে নিতে পারে সরকার। মনে করা হচ্ছে আগামী সপ্তাহে এই বিল পাস হতে চলেছে। তবে, পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় ক্ষমতাসীন দল তথা ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম শরিক তৃণমূল কংগ্রেস এই বিলের বিরোধিতা করছে।