Trending NewsAppleNYT GamesCelebrity NewsWordle tipsBig 12 SoccerCelebrity BreakupsKeith UrbanUnited Nations Day

প্রচন্ড গতিতে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে এই বিশালাকার গ্রহাণু, আকৃতি প্রায় লিবার্টি স্ট্যাচুর ২ গুন

Updated :  Saturday, February 6, 2021 10:16 PM

সবাই মনে করেছিল ২০২০ ছিল একটি অভিশপ্ত বছর। এই বছরে করোনা ভাইরাস প্যানডেমিক গোটা বিশ্ববাসীর জীবন অতিষ্ঠ করে দিয়েছিল। এই রোগের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে সবাই তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছে। তবে নতুন বছরে আশার আলোর মত মানবসমাজকে রক্ষা করতে চলে এসেছে বিভিন্ন করোনার টিকা। কয়েক মাস পর্যবেক্ষণের পর এই টিকা কার্যকরী করা হয়েছে। স্বভাবতই গোটা বিশ্ববাসী ২০২১ বেশ আনন্দমুখর হয়ে শুরু করেছিল। তবে এই খুশি কী আর বেশিদিন থাকবে না? এমনটাই আপনার মনে প্রশ্ন জাগবে যখন আপনি নাসার সম্প্রতি দেওয়া খবর জানতে পারবেন।

সম্প্রতি নাসার সূত্রে খবর অনুযায়ী, গোটা বিশ্ববাসীর জন্য একটি ভয়ঙ্কর খবর আছে। পৃথিবী হয়তো আর কিছুদিনের মধ্যেই ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। কিন্তু কিভাবে? আসলে নাসা জানিয়েছে পৃথিবীর গা ঘেঁষে ছুটে আসছে বিশাল আকার একের পর এক গ্রহাণু। তার মধ্যে চিন্তার কারন একটি গ্রহাণু যার আকার প্রায় আমেরিকার স্ট্যাচু অফ লিবার্টির ২ গুন। আপনি চিন্তা করতে পারছেন একটা এত বড় গ্রহাণু পৃথিবীতে এসে ধাক্কা মারলে কী পরিণতি ঘটতে পারে!

নাসার তরফের জানা গিয়েছে বিশালআকার এই গ্রহাণুর নাম 2020 XU6। গ্রহাণুটি প্রায় ২১৩ মিটার লম্বা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যাচু অফ লিবার্টি প্রায় ৯৩ মিটার লম্বা। সুতরাং হিসাব করলে বোঝা যাবে এই গ্রহাণু তার থেকে প্রায় ২ গুন বড়। গ্রহাণুটি ৩০ হাজার ২৪০ কিলোমিটার বেগে পৃথিবীর ধারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পৃথিবী থেকে এই গ্রহাণুর দূরত্ব এতটাই কম যে বৈজ্ঞানিকরা এই গ্রহাণুকে ‘নিয়ার আর্থ অবজেক্ট’ বলেছে আর এটিকে ‘সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ’ বলেও অভিহিত করেছে।

তবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই! আসলে নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছে এই গ্রহাণুর সরাসরি পৃথিবীতে এসে ধাক্কা মারার তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। আসলে মহাজগতে পৃথিবীর চারিধারে প্রায় ১৮ হাজার গ্রহাণু ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারমধ্যে ১৮০০ গ্রহাণু বেশ বিপদজনক পর্যায়ে আছে। এছাড়া অত্যন্ত বিপদজনক তালিকায় আছে ১৫০ টি গ্রহাণু। তবে বিজ্ঞানীদের মতে ঘাবড়াবার কিছু নেই। এরকম গ্রহাণু মহাজগতে অগুনতি ঘুরে বেড়াচ্ছে। পৃথিবীতে এদের আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। তবে করোনা মহামারীর পর কোন কিছুকে অবিশ্বাস করা যায় না বললেই চলে।