সম্প্রতি ভারতে স্বাস্থ্য সমীক্ষায় প্রকাশিত হল আশা জনক রিপোর্ট। আর তাতেই আশার আলো জ্বলে উঠলো মেয়েদের জন্য। প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা গিয়েছে ভারতে নারীর সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে পুরুষদের তুলনায়। প্রতি হাজার জন পুরুষের মধ্যে মহিলাদের সংখ্যা এখন ১০২০ জন। অর্থাৎ শিশু কন্যা ভ্রণ বা শিশু কন্যা হত্যার প্রবণতা কমছে। আর এতেই আশা দেখছে দেশবাসী। একসময়ে ক্রমশ নারীর সংখ্যা কমতে শুরু করেছিল । যার জেরে দেশে জন বিস্ফোরণ ঘটার প্রবণতা ছিল তা অনেকটাই কমেছে।
ভারতে জনসংখ্যার নিরিখে এই প্রথম পুরুষদের সংখ্যা থেকে মহিলার সংখ্যা বেশি। NFHS-5 সমীক্ষায় এখন ১০০০ পুরুষে ১০২০ জন মহিলা রয়েছেন। সাথে এও বলা হচ্ছে জনসংখ্যার বয়সও কমছে না। ইতিমধ্যে জাতীয় পরিবার এবং স্বাস্থ্য সমীক্ষার পঞ্চম পর্যায়ের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৯৯০ সালে ভারতে ১,০০০ জন পুরুষপিছু মহিলার সংখ্যা ছিল ৯২৭। ২০০৫ সালে এই সমীক্ষায় জাতীয় স্তরব পুরুষ এবং মহিলার সংখ্যা সমান ছিল। ২০১৫ সালের সমীক্ষায় ১০০০ হাজার পুরুষের জন্য ছিলেন ৯৯১ জন মহিলা। আনুপাত ছিল ৯৯১:১,০০০।
সেক্স রেশিওতে দেখা যাচ্ছে, শহরের চেয়ে গ্রামে পুরুষের চেয়ে মহিলাদের সংখ্যা বেশি। গ্রামে ১০০০ পুরুষে ১০৩৭ জন মহিলা রয়েছেন। আর শহরে ৯৮৫ জন মহিলা রয়েছেন। এই সার্ভের হিসেবে গ্রামের প্রতি এক হাজার পুরুষে ১০০৯ জন মহিলা ছিলেন। যেখানে শহরে এই হিসেব ছিল ৯৫৬ জন।
ভারতের মধ্যে ২৩ টি রাজ্যে পুরুষ অপেক্ষা মহিলার সংখ্যা বেশিই রয়েছে। যেমন-
উত্তরপ্রদেশে মহিলার সংখ্যা -১০১৭ জন,
বিহারে মহিলার সংখ্যা- ১০৯০ জন,
রাজস্থানে মহিলার সংখ্যা- ১০০৯ জন
ছত্তিশগ মহিলার সংখ্যা- ১০১৭ জন
ঝাড়খন্ডে মহিলার সংখ্যা-১০৫০ জন।
তবে বেশ কিছু রাজ্যে এখনও মহিলার সংখ্যা বেশকিছুটা কম রয়েছে। তবে অনেকেই স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন, নারী এবং পুরুষদের গড় আয়ুর মধ্যে তফাৎ আছে। ভারতীয় সেনসাসের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, ২০১০-১৪ সালের মধ্যে পুরুষ এবং মহিলাদের গড় আয়ু ছিল ৬৬.৪ বছর এবং ৬৯.৬ বছর। সেই পরিস্থিতিতেও পুরুষদের থেকে নারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় আশাবাদী প্রশাসনিক মহল।
উল্লেখ্য,ভারতে নারীদের বেঁচে থাকার সময়সীমা পুরুষদের তুলনায় একটু বেশি হয়। এই সমীক্ষায় বলা হচ্ছে পুরুষরা যদি ৬৬ বছর পর্যন্ত বাঁচে তাহলে নারীরা ৬৯ বছর পর্যন্ত বাঁচে। আর বিগত ১৫ বছরে ভারতের জনসংখ্যা অনেকটাই কমেছে বলে জানা গিয়েছে।কাজেই ভারতে জনবিস্ফোরণের আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল সেটা অনেকটাই কমেছে।