অবসরের পরেও প্রতি মাসে রোজগার করতে চান ৫০ হাজার টাকা করে, জেনে নিন সরকারি এই প্রকল্পের ব্যাপারে

যদি আপনি প্রাইভেট সেক্টরে কাজ করেন এবং অবসরের পরে আর্থিক নিরাপত্তা বা ফিনান্সিয়াল সিকিউরিটি চান তাহলে আপনার জন্য ন্যাশনাল পেনশন স্কিম নিয়ে হাজির হয়েছে ভারত সরকার। এই নতুন সিমের মাধ্যমে…

Avatar

যদি আপনি প্রাইভেট সেক্টরে কাজ করেন এবং অবসরের পরে আর্থিক নিরাপত্তা বা ফিনান্সিয়াল সিকিউরিটি চান তাহলে আপনার জন্য ন্যাশনাল পেনশন স্কিম নিয়ে হাজির হয়েছে ভারত সরকার। এই নতুন সিমের মাধ্যমে ইনকাম ট্যাক্স বাঁচানোর সুবিধার পাশাপাশি রিটায়ার করার পর আপনি একটা মোটামুটি রোজগার করতে পারবেন পেনশন হিসেবে। প্রতিমাসে আপনারা নিশ্চিত টাকা রোজগারের গ্যারান্টি পেয়ে যাবেন এবং তার সাহায্যে খুব সহজেই মাসে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত হাতে পাবেন আপনারা।

ন্যাশনাল পেনশন স্কিমকে লম্বা সময়ের ইনভেসমেন্ট প্ল্যান বলে মনে করা হয়ে থাকে। চাকরিজীবীরা নিজেদের জীবনে অল্প অল্প করে টাকা জমা রেখে রিটায়ারমেন্ট এর পর বৃদ্ধ অবস্থায় এই টাকা তুলতে পারেন এবং দুইভাবে এই টা কা লগ্নিকারীদের কাছে ফেরত আসে। আপনি এর একটা অংশ একেবারে তুলে নিতে পারেন এবং অন্য অংশ পেনশনের জন্য জমা রাখতে পারেন। যাতে অ্যানুইটি কেনা যায়। অ্যানুইটি কেনার জন্য যত বেশি টাকা আপনি তুলে রেখে দেবেন তত বেশি টাকার আপনি পেনশন পেয়ে যাবেন।

ন্যাশনাল পেনশন স্কিম এর জন্য দুটি ধরনের একাউন্ট রয়েছে। এর মধ্যে প্রথমটি হলো টায়ার ওয়ান এবং দ্বিতীয়টি হল টায়ার টু। যারা রিটায়ারমেন্টের পর বেশি ফায়দা নিতে চাইছেন তাদের জন্য টায়ার ওয়ান একাউন্ট ভালো। এই ধরনের অ্যাকাউন্ট তারা করে থাকেন যাদের প্রভিডেন্ট ফান্ড জমা হয় না এবং অবসর গ্রহণের পর ফাইন্যান্সিয়াল সিকিউরিটি তারা চেয়ে থাকেন। এতে নূন্যতম ৫০০ টাকা আপনি জমা করতে পারবেন এবং রিটায়ারমেন্ট এরপর ৬০ শতাংশ টাকা তুলে নিতে পারবেন। বাকি ৪০ শতাংশ টাকা রেখে দিয়ে আপনি পরে তা থেকে পেনশনের মত করে টাকা নিতে পারবেন।

এনপিএস এর টায়ার ওয়ান একাউন্টের কন্ট্রিবিউশান এবং উইথড্রল দুটি ক্ষেত্রে ট্যাক্স ছাড় পাওয়া যেতে পারে। এই টায়ার ওয়ান একাউন্টের অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের ইনকাম ট্যাক্স আইন ৮০সি অনুযায়ী ১.৫ লক্ষ্য টাকা পর্যন্ত এবং ৮০ সিসিডি অনুযায়ী ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ট্যাক্স ছাড়ের সুবিধা দেওয়া হয়।

About Author