নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়েকে সরিয়ে দেওয়া হল শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান মাদক মামলা থেকে। কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থার তরফে শুক্রবার জানানো হয়েছে, ২রা অক্টোবর ক্রুজ ড্রাগস পার্টি মামলার তদন্তকারী দলের অংশ থাকছেন না বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা এই দুঁদে অফিসার। তবে এই খবরে শিলমোহর পড়বার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ফের নতুন টুইস্ট এই হাইপোফা মাদক মামলায়। দিন যত যাচ্ছে, আরিয়ানের এই মাদক মামলায় একের পর এক ট্যুইস্ট এসেই চলেছে।
শুক্রবার রাতে এনসিবির তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়, আরিয়ান খান-সহ মোট ৬টি মাদক মামলা এনসিবির মুম্বই ব্রাঞ্চে থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দিল্লি ইউনিটে। দিল্লির এক বিশেষ তদন্তকারী দল এই হাইপ্রোফাইল কেস সামলাবেন।তারপুরেই আরিয়ান মামলার নতুন তদন্তকারী অফিসার সঞ্জয় কুমার সিং-এর মন্তব্য ঘিরে চাঞ্চল্য শুরু হয়। এনসিবির এই ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল জানিয়েছেন, আরিয়ানের মাদক মামলার তদন্তে অবশ্যই যুক্ত থাকবেন সমীর ওয়াংখেড়ে। সঞ্জয় কুমার সিং এবং তাঁর পুরো টিম সমীরের পরামর্শ মেনে এই কেসের কাজ করবেন।
তবে এই মামলার হস্তান্তর করবার এই সিদ্ধান্ত পুরোপুরিভাবে সাংগঠনিক নেওয়া হয়েছে কারণ তবে আরিয়ান মামলায় সমীর ওয়াংখেড়ের নামের সঙ্গে ‘তোলাবাজি’ এই শব্দটির অভিযোগ আসে। এরপরেই এনসিবির এই সিদ্ধান্তকে অনেকেই ভালো চোখে দেখেননি। শুধু তোলাবাজি নয়, সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে জাল কাস্ট সার্টিফিকেট দিয়ে এই চাকরি পাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন নবাব মালিক। এমনকি ইসলাম ধর্ম মেনে করা ওয়াংখেড়ের প্রথম বিয়ে নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী। এরপরেই এই সিদ্ধান্ত নেন সংগঠন।
"We've taken over a group of 6 cases. He (Sameer Wankhede) is the zonal director of Mumbai, we'll definitely take his assistance in the investigation," said Narcotics Control Bureau's DDG Sanjay Kumar Singh in Mumbai pic.twitter.com/egkhfHQFhf
— ANI (@ANI) November 6, 2021
শুক্রবার কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থার তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়, মামলা হস্তান্তরের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কারণ এই মামলাগুলির সঙ্গে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রভাব জড়িয়ে রয়েছে। তাই এই মুহূর্তে কোনও অফিসারকে তাঁদের পদ থেকে সরানো হয়নি, তাঁরা নিজেদের দায়িত্ব পালনে অবিচল থাকবেন’।
দিল্লি ইউনিটের হাতে মামলার তদন্তভার চলে যাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেননি। বরং তিনি সংবাদমাধ্যমকে ওয়াংখেড়ে জানিয়েছেন, ‘তাঁকে কোনোভাবে অপসারিত করা হয়নি তদন্তকারী দল থেকে। তিনি তো আদালতেই রিট পিটিশনে জানিয়েইছিলেন যে এই তদন্তভার কেন্দ্রীয় টিমের হাতে তুলে দেওয়া হোক। এবার থেকে আরিয়ান খান কেস এবং সমীর খান কেস দিল্লি এনসিবি-র বিশেষ দলের দায়িত্বে থাকবে। এটা এনসিবির দিল্লি ও মুম্বই টিমের মধ্যেকার সমঝোতা’।