একদিকে আরবসাগরের তীরে চরম উত্তেজনা অন্যদিকে দীপিকা কেঁদে ভাসালেন এনসিবি-র দপ্তরে। সূত্রের খবর, তিন তিন বার কেঁদেছেন দীপিকা। অবশ্য কাঁদতে কাঁদতেই এনসিবি-র আধিকারিকদের গোল গোল উত্তর দিয়েছেন বলিউডের মাস্তানি। তিনি নিজে স্বীকার করেছেন হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট তাঁর নিজেরই এবং ওই গ্রুপের এডমিন তিনি নিজেই। শুধু এই পর্যন্ত ইতিবাচক উত্তর দিয়েছেন পদ্মাবতী। এরপরের সব উত্তরেই দীপিকা একবার করে চোখের জল ফেলেছেন আর বলেছেন আমি মাদক নিইনি। মাদক কখনো চোখেও দেখিনি, এইরকম নানান উত্তরে বিভ্রান্ত করেছিলেন বলিউডের মস্তানি। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের আধিকারিকরাও জানেন কীভাবে উত্তর বের করতে হয়।

গতকালে আরবসাগরের তীরে এক বৃহৎ নাট্যমঞ্চ তৈরি হয়েছিলো। মুম্বাইয়ের কয়েক শত শত মানুষ গতকাল ভিড় জমিয়েছিলেন এন সি বি-র দপ্তরের সামনে। গতকাল দিপিকাই ছিলেন মধ্যমণি।
কয়েকটি সূত্র অনুযায়ী পাওয়া খবরে, দীপিকা কাল বহুবার ধমক খান আধিকারিকদের থেকে। দীপিকার কুমিরের কান্নায় মন গলেনি এনসিবি-র আধিকারিকদের। ‘ইমোশনাল কার্ড’ খেলতে বারন করেন এনসিবি-র আধিকারিকরা। হোয়াটসঅ্যাপে ‘মাল হ্যায় ক্যা’ বলে তিনি যে মেসেজ পাঠিয়েছিলেন করিশ্মাকে, সেটাও মাদক নিয়ে নয় বলে দীপিকার দাবি। করিশ্মাও কাল বলেন, দীপিকা স্বাস্থ্যসচেতন, তিনি মাদক সেবন করেন না। কিন্তু পরবর্তী বার্তায় ‘হ্যাশ’ চেয়ে পাঠান দীপিকা। এই ব্যপারে এনসিবি-র আধিকারিকরা জিজ্ঞাসাবাদ করলে গোল গোল উত্তর দিয়ে আধিকারিকদের বিভ্রান্ত করেন এবং অকারন কান্নাকাটি করে পরিবেশ নষ্ট করতে চেয়েছিলেন টপ ক্লাস অভিনেত্রী।

দীপিকা যে ভালমত হোম ওয়ার্ক করে এসেছেন তা স্পষ্ট। শেখানো কথা বলছেন বলে মনে হয়েছে এনসিবি-র। পরবর্তীতে দীপিকাকে আরেকবার ডাকা হতে পারে বলে জানিয়েছেন এনসিবি-র আধিকারিকরা।














