বর্তমান সময়ে বেকারত্ব একটি প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। চাকরির সুযোগ সীমিত হওয়ায় অনেকেই ব্যবসার দিকে ঝুঁকছেন। স্বল্প বিনিয়োগে লাভজনক ব্যবসার সন্ধানে অনেকেই রয়েছেন, আর এমনই একটি লাভজনক ব্যবসা হল ঝাড়ু তৈরির ব্যবসা। কম বিনিয়োগে শুরু করে এই ব্যবসায় ভালো মুনাফা অর্জন করা সম্ভব। ঝাড়ু এমন একটি পণ্য, যার চাহিদা সারা বছরই থাকে।
কেন ঝাড়ু তৈরির ব্যবসা লাভজনক?
ঝাড়ু আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য একটি উপকরণ। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য এটি প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন ধরনের ঝাড়ু পাওয়া যায়, যেমন ঘাসের ঝাড়ু, নারকেল পাতার ঝাড়ু, খেজুর পাতার ঝাড়ু এবং কর্ন হাস্ক দিয়ে তৈরি ঝাড়ু। এছাড়া, প্লাস্টিকের ঝাড়ুও বাজারে পাওয়া যায়। তবে প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি ঝাড়ুর চাহিদা বেশি, কারণ এগুলো পরিবেশবান্ধব এবং টেকসই। শহর কিংবা গ্রাম, সব জায়গাতেই ঝাড়ুর ব্যবহার অপরিহার্য। ফলে, এই ব্যবসায় চাহিদার ঘাটতি পড়ার আশঙ্কা নেই।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowকীভাবে শুরু করবেন ঝাড়ু তৈরির ব্যবসা?
ঝাড়ু তৈরির ব্যবসা মূলত দুইভাবে শুরু করা যায়:
1. হাতে তৈরি ঝাড়ু: ছোট পরিসরে বাড়িতে বসে শ্রমিকদের সাহায্যে ঝাড়ু তৈরি করা যায়।
2. মেশিনের মাধ্যমে ঝাড়ু তৈরি: দ্রুত উৎপাদন এবং ভালো মানের পণ্য তৈরির জন্য ছোট মেশিন ব্যবহার করা যেতে পারে।
ঝাড়ু তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল:
– ব্রুম হ্যান্ডেল ক্যাপ
– প্লাস্টিক টেপ
– স্ট্র্যাপিং ওয়্যার
– ঘাস বা অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদান
এই উপাদানগুলোর সাহায্যে ঝাড়ুর আকৃতি নির্ধারণ করা হয় এবং শক্তিশালীভাবে তৈরি করা হয়, যাতে এটি দীর্ঘদিন টেকসই হয়।
ঝাড়ুর চাহিদা কেমন?
ভারতের বাজারে মূলত ফুল ঝাড়ু এবং সিঙ্ক ঝাড়ুর চাহিদা বেশি। এই ঝাড়ুগুলি হাতে তৈরি হয় এবং সাশ্রয়ী দামে বিক্রি করা যায়, ফলে বাজারে এর চাহিদা অনেক বেশি। গ্রাম কিংবা শহর, সব জায়গাতেই ঝাড়ুর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। সুতরাং, ব্যবসা কোথায় শুরু করবেন তা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। যদি গুণগত মান বজায় রাখা যায়, তাহলে সফলতা নিশ্চিত।
বিনিয়োগ ও লাভের পরিমাণ
ঝাড়ু তৈরির ব্যবসা মাত্র ১৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেই শুরু করা যায়। প্রাথমিকভাবে ছোট পরিসরে শুরু করলে মাসে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। উৎপাদিত ঝাড়ুর গুণগত মান ভালো হলে উচ্চমূল্যে বিক্রি করা যাবে। বড় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করলে এবং অনলাইনে বিক্রির মাধ্যমে লাভের পরিমাণ আরও বাড়ানো সম্ভব।
কম খরচে লাভজনক একটি ব্যবসা শুরু করতে চাইলে ঝাড়ু তৈরির ব্যবসা হতে পারে সেরা বিকল্প। বাজারে এর চাহিদা কখনোই কমবে না। সঠিক পরিকল্পনা ও কার্যকর কৌশল অবলম্বন করলে এই ব্যবসায় সফলতা আসবেই।