সময় সারণী যে রকমই হোক না কেন একটি মেট্রোর মিস করলে আপনাকে কিন্তু পরবর্তী মেট্রো ধরার জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে হবে প্রায় আধঘণ্টা। ওয়ান লাইন ওয়ান মেট্রো সার্ভিস একটি ট্রেন যাতায়াত করবে দিনভর। ফলে একবার এই মেট্রো মিস করলে আর কিন্তু রক্ষে নেই। নিউ গড়িয়া থেকে রুবি বা জোকা থেকে তারাতলা চলতি বছর পরিসেবা চালু হলেও যাত্রী কতটা হবে তা নিয়ে সংশয় থাকছেই। এখনো পর্যন্ত ট্রায়াল রাউন্ড চললেও কমিশনার অফ রেলওয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, খুব শীঘ্রই এই লাইনে যাত্রী পরিবহন শুরু হবে। এখনো পর্যন্ত দুটি রুটে এই সিগন্যালিং সিস্টেম তৈরি করা হয়নি। তাই একটি লাইন দিয়ে একটি মেট্রো ছুটবে এবং সেটি গন্তব্যে পৌঁছানোর পর তারপর ওই লাইন দিয়েই ওই মেট্রো ফিরবে। আর এই একটি ট্রেন আপডাউন করাতে তা পেতে যাত্রীদের আধ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে।
জোকা ঠাকুরপুকুর শখেরবাজার বেহালা চৌরাস্তা বেহালা বাজার এবং তারাতলা, জোকা থেকে তারাতলা মেট্রো রেলে এই মুহূর্তে রয়েছে ছয়টি স্টেশন। আপাতত যা ঠিক করা হয়েছে, ওয়ান ট্রেন সার্ভিস চালু করা হবে এই লাইনে। নিজের স্বাভাবিক গতিতে মেট্রো গেলে ১৮ থেকে ১৯ মিনিট মতো সময় লাগার কথা। অর্থাৎ মনে করা যাক একজন যাত্রী বেহালা বাজার যাবেন বলে ঠাকুর পুকুর থেকে মেট্রো ধরতে প্লাটফর্মে গেলেন। কিন্তু দেখলেন মেট্রোটা সবে বেরিয়ে গেল। তার ফলে তাকে অপেক্ষা করতে হবে একটা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত। ওই ট্রেন তারাতলা পৌঁছবে আবার সেখান থেকে জোকা ফিরবে তারপর আবার যখন তা তারাতলার উদ্দেশ্যে রওনা দেবে, তখন ওই ব্যক্তিই ঠাকুরপুকুর থেকে উঠতে পারবেন। অর্থাৎ একটি মেট্রো মিস হলে প্রায় ৩০ মিনিটের বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করতে হবে।
এই একই অবস্থা নিউ গড়িয়া থেকে রুবি রুটেও। মেট্রো কর্তারা জানাচ্ছেন খুব দ্রুত কাজ হচ্ছে। জিএম বলেছেন কালী পূজার সময় পরিষেবা চালু করার কথা এবং সেই মতো কাজ এগোতে শুরু করেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। তবে সিআরএস দেখে তারপর ছাড়পত্র দিলে তবে যাত্রী নিয়ে ছোটা শুরু করবে এই মেট্রো। কবি সুভাষ থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় অর্থাৎ রুবি পর্যন্ত প্রায় সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার যাত্রাপথে পাঁচটি স্টেশন রয়েছে। কবি সুভাষ, সত্যজিৎ রায়, জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী, কবি সুকান্ত এবং হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। আপাতত এই রুটে একটি মাত্র মেট্রো চলবে। অর্থাৎ যদি একবার আপনি ট্রেন মিস করেন তাহলে আপনাকে প্রায় আধঘণ্টার উপর অপেক্ষা করতে হবে পরবর্তী ট্রেনের জন্য।