গত ১লা জুন থেকে দেশ জুড়ে জারি হয়েছে আনলক-১। আনলক-১ চালু হওয়ার পর দেশ জুড়ে আরও বেড়েছে করোনা সংক্রমণের হার। এই অবস্থায় সাধারণ মানুষের মনে একটাই প্রশ্ন, লকডাউন কি আবার জারি হতে পারে? একদিকে লকডাউন জারি থাকলে অর্থনীতিতে জোরালো প্রভাব পড়ছে অন্যদিকে লকডাউন তুলে নিলে সংক্রমণ বাড়ছে হু হু করে। এই দুইয়ের মাঝে প্রবল টানাপোড়েনে পড়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি। আগামী মঙ্গল এবং বুধবার সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে কি আলোচনা হয় এখন সেদিকেই নজর সকলের।
কিন্তু ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে একাধিক মেসেজ। গত কয়েকদিন ধরেই হোয়াটস অ্যাপ এবং ফেসবুকে একাধিক এমন মেসেজ ঘুরছে যেখানে লেখা আছে ১৫ই জুন থেকে শুরু হচ্ছে লকডাউন। দেশে বর্তমান সংক্রমণের দিকে তাকিয়ে এই দফার লকডাউনে সরকারের তরফে আরও কড়াকড়ি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই এমন বেশ কয়েকটি মেসেজ ঘুরে বেড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে। কিন্তু এই মেসেজ গুলির সাপেক্ষে এখনো কোনো সরকারি নির্দেশ নেই। সম্পূর্ণ ভাবে গুজব ছড়ানো হচ্ছে এগুলির মাধ্যমে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এই বার্তা গুলো এতটাই ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে যে, মহারাষ্ট্রে খোদ সরকারকে এর বিরুদ্ধে আসরে নামতে হয়েছে। উদ্ভব ঠাকরে সরকারের তরফে গতকাল টুইট করে জানানো হয় যে, এই ধরণের মেসেজের কোনো ভিত্তি নেই। সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এই মেসেজ গুলি ছড়ানো হচ্ছে। মহারাষ্ট্র সরকার এমন কোনো ঘোষণা করেনি, সরকার এখনো নতুনভাবে লকডাউন চালু করার বিষয়ে কোনো চিন্তাভাবনা করেনি।
মহারাষ্ট্রের মতো একই পরিস্থিতি তেলেঙ্গানারও। সেখানেও লকডাউনের গুজব এতটাই ভয়ানক আকার ধারণ করেছে যে, খোদ রাজ্যের মুখ্যসচিব সোমেশ কুমার সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, সরকার লকডাউন নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। গোটাটাই গুজব ছড়ানো হচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। নবান্নের এক কর্তারও একইরকম মত। এখন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্য গুলির আলোচনায় কি সিদ্ধান্ত হয় সেদিকেই তাকিয়ে সবাই।