একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচন দোড়গোড়ায় এসে উপস্থিত হয়েছে। এখন পাড়ার মোড়ে চায়ের দোকান থেকে শুরু করে ঘরের বেডরুম অব্দি রাজনীতি ঢুকে পড়েছে। আট থেকে আশি সবাই এবারের বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের ফল কি হবে তা নিয়ে উৎকণ্ঠায় আছে। আসলে চলতি বছরে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে যে হেভিওয়েট লড়াই হবে, তা নিয়ে সন্দেহ নেই বঙ্গবাসীর। তাই রাজ্যের প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল পূর্ণ উদ্যমে তাদের ভোট প্রচারের কাজ করছে। তবে এরই মাঝে অবাক করে দিয়ে বিয়ে বাড়িতে রাজনীতির প্রভাব দেখা গেল। সেই বিয়েবাড়িতে নেমন্তন্ন খেতে আসা অতিথিদের নবদম্পতি অনুরোধ জানিয়েছে যে তারা যাতে না বিজেপিকে একটিও ভোট দেয়। বিয়েবাড়িতে এমন রাজনৈতিক প্রচার দেখে অবাক হয়েছে অনেকেই।
ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের গলসি থানার শিমুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা সেখ মহম্মাদ হাফিজুরের বিয়েতে। গত ১০ মার্চ সে বীরভূমে তারাপীঠের সান্ধ্যজল গ্রামের আজিজা খাতুন এর সাথে বিবাহ করে। তারপরের দিন গলসি গ্রামে আয়োজিত প্রীতিভোজ অনুষ্ঠানে নবদম্পতি “বিজেপিকে একটিও ভোট নয়” লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে ক্যামেরার সামনে পোজ দেয়। এই বিষয়ে প্রশ্ন উঠলে তারা সরাসরি জানিয়েছে, “আমরা সমাজ সচেতন মানুষদের কাছে একটি বার্তা তুলে ধরতে চাই। আমাদের দাবি যে বিজেপিকে ছাড়া যেকোন রাজনৈতিক দলকে ভোট দেওয়া যেতে পারে। তবে বিজেপিকে একটা ভোট দেওয়া যাবে না।”
মহম্মাদ হাফিজুর জানিয়েছেন, “বিজেপির শাসনে গোটা দেশের হাল বেহাল হয়ে যাচ্ছে। গেরুয়া শিবির বর্তমানে বাংলায় জাতিভেদ এনে তার ওপর তাদের সাম্রাজ্য গড়ে তুলতে চাইছে। কৃষকদের ফসল বিক্রি হচ্ছে ব্যবসায়ীদের চোখ-রাঙানিতে। এই বিজেপি সরকার কৃষকদের যন্ত্রণা কখনো বুঝবে না। আমি নিজে একজন কৃষক পরিবারের। আমি কৃষকদের দুঃখ কষ্ট অনুভব করতে পারি। তাই বিজেপির এই অনাচারের বিরুদ্ধে প্রচার করতে আজ আমার বিয়ের আসরটা আমি বেছে নিয়েছি। যে কোনো দলকে ভোট দিন কিন্তু বিজেপিকে একটিও ভোট দেবেন না।”