একবছর আগে নিখিল জৈন আর নুসরত জাহান স্বামী স্ত্রীর মতো সংসার করছিলেন। তবে এই একবছরে এদের সম্পর্কের সমীকরণ পুরো পালটে গিয়েছে। ২০১৯ সালে বন্ধু আর পরিবারের উপস্থিতিতে তুরস্কে ধূমধাম করে বিয়ে করেছিলেন অভিনেতা নুসরত জাহান ও ব্যবসায়ী লিখিল জৈন। এরপর দেশে ফিরে একসঙ্গে কিছু মাস সংসার করেন। তবে এর পরই আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নেন দুজনে।
এরপরেই নুসরতের জুন মাসে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসে। এরপর নিখিল নুসরতের শিশুর পিতৃত্ব অস্বীকার করেন। এরপরেই তিনি নুসরতের থেকে বিচ্ছেদ চান। এর কিছুদিন পরই একটি বিবৃতিতে নুসরত জানিয়েছিলেন যে ভারতে তাঁদের বিয়ের রেজিস্ট্রেশন হয়নি, তুরস্কের বিয়ে ভারতে গ্রাহ্য নয়, অতএব এই বিয়ে বৈধ নয়। তাঁরা লিভ ইন রিলেশনশিপে ছিলেন বলেই দাবি করেন নুসরত। তাই নিখিলের সঙ্গে তাঁর ডিভোর্সের কোনও প্রশ্নই ওঠে না। নুসরতের এই বিবৃতির পরই কোর্টের দ্বারস্থ হন নিখিল জৈন।
নুসরতের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করার আবেদন করেছিলেন নিখিল জৈন। বেশ কয়েকমাস ধরে নুসরতের বিরুদ্ধে এই মামলা চলার পর অবশেষে বুধবার নিখিলের পক্ষে রায় দিল আদালত। পুরোপুরি খারিজ হল নিখিল নুসরতের বিয়ে। দীর্ঘ টানাপোড়েন, বহু তর্ক বিতর্কের পর অবশেষে নুসরত জাহানের সঙ্গে সব সম্পর্ক আজ শেষ হল নিখিল জৈনের।
নুসরত আলাদা হয়ে যাওয়ার বেশ কিছুদিন পর ম্যারেজ অ্যানালমেন্টের মাধ্যমে নিজেদের বৈবাহিক সম্পর্কে ইতি টানতে চেয়ে কোর্টের দারস্থ হয়েছিলেন নিখিল জৈন। অবশেষে আজ জয় হল নিখিলের। এইদিন তাঁদের বিয়ে খারিজ করে দিল আলিপুর সিভিল কোর্ট। বিয়ে খারিজ হতেই এক সংবাদমাধ্যমে নিখিল জানিয়েছেন, ‘আজ আমার জন্মদিন আর জন্মদিনে এটাই সেরা উপহার’।