ভারত তথা বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানির নামটা কোনোদিন শোনেননি এমন মানুষের সংখ্যা হয়তো হাতে গোনা যাবে। রিলায়েন্স গোষ্ঠীর মালিক মুকেশ আম্বানি সম্পদের নিরিখে গত কয়েকদশক ধরে ধনীতম মর্যাদা পেয়েছেন। পাশাপাশি মুকেশ আম্বানি জায়া নীতা আম্বানির পরিচিতিও রয়েছে দেশজুড়ে। ‘রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন’, ‘ধীরুভাই আম্বানি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের’ প্রতিষ্ঠাতা এবং রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক তিনি। সম্প্রতি প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী মুকেশ আম্বানির বর্তমান সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৮২.৯ বিলিয়ন।
২০ বছর বয়সে ১৯৮৫ সালে মুকেশ আম্বানির সাথে বিয়ে হয়েছিল নীতার। তারপর থেকেই বদলে গিয়েছে নীতা আম্বানির জীবনযাত্রা। আম্বানি পরিবারের কথা উঠলেই সবার কল্পনাতেই আসে বিলাসবহুল বাড়ি গাড়ি ও লাক্সারি জীবনযাপন। নীতা আম্বানির বাড়ির প্রায় সবকিছুই সোনায় মোড়া। তিনি প্রায় চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন, নিজের রাজকীয় জীবনযাপন এবং বিলাসবহুল শখের জন্য। প্রায় সোশ্যাল মিডিয়াতে আলোচনার টপিক হয়ে ওঠে আম্বানি পরিবারের কোটি টাকার শাড়ি বা লাখ টাকার চা বা যেকোনো বহুমূল্যবান ব্র্যান্ডেড জিনিসপত্র।
তবে সম্প্রতি নীতা আম্বানি সম্পর্কে এমন এক কথা শোনা গিয়েছে, যাতে রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ হয়েছে সাধারণ মানুষের। মানুষের বেঁচে থাকতে গেলে জলের ভূমিকা অপরিসীম। সিংহভাগ মানুষ কোনো অর্থ না ব্যয় করেই খাবার জল জোগাড় করেন। কিন্তু আপনি শুনলে অবাক হবেন যে বিশ্বের সবচেয়ে দামি জলপান করেন নীতা আম্বানি। তাঁর ব্যবহার করা ব্র্যান্ডের ১ লিটার পানীয় জলের দাম এবং বিশেষত শুনলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। নীতা আম্বানি যেই জল পান করেন তার ৭৫০ ml বোতলের দাম প্রায় ৬০ হাজার ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় হিসাব করলে এক বোতল জলের দাম প্রায় ৪০ লাখ টাকার বেশি।
আসলে নীতা আম্বানি তাঁর স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখেন। তাই তো প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হয় জল কিনতে। বহুমূল্যবান এই জলের কোম্পানির নাম, “Aqua Cristalo Triboto”। এই জলের বোতল খাঁটি সোনা দিয়ে তৈরি। এছাড়া জলে ৫ গ্রাম সোনার নির্যাস মেশানো হয় যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এইজন্যই এই কোম্পানির জলের দাম এত বেশি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আপনাদের জানিয়ে রাখি নীতা আম্বানি তার প্রত্যেকদিন শুরু করেন ৩ লাখ টাকার চা পান করে।