বিহারে করোনা সংক্রমণ ধীরে ধীরে বেড়েই চলেছে এবং সেই পরিস্থিতি কথা মাথায় রেখে আগামী ১৫ মে পর্যন্ত লকডাউন এর ঘোষণা করলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। নিতেশ কুমার জানিয়ে দিলেন, কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী জাতির উদ্দেশে ভাষণে রাজ্যগুলিকে লকডাউনের পথে না যাওয়ার কথা বলেছিলেন কিন্তু লকডাউন কে শেষ বিকল্প হিসেবে আবার কোথাও তিনি বলেছিলেন। জেডি ইউ এবং বিজেপি একসাথে যেখানে ক্ষমতায় রয়েছে সেখানেই হলো লকডাউন, ফলে নরেন্দ্র মোদীর যুক্তি কিছুটা হলেও ক্ষুন্ন হলে বলে মনে হচ্ছে।
বিহারে রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য এবং নির্বাচিত আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করলেন নিতিশ কুমার। নীতিশ জানিয়ে দিলেন, রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য এবং আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করার পর আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আগামী ১৫ মে পর্যন্ত লকডাউন চালানো হবে বিহারে। সেই সময় করোনাভাইরাস গাইডলাইন মেনে চলা হবে।পাশাপাশি আমরা তৈরী করব একটি বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী যারা এই পরিস্থিতিতে কাজকর্ম করবে।
প্রশ্ন উঠছে, যেখানে বিজেপি ক্ষমতায় আছে সেখানে কেন লকডাউন করা হচ্ছে। তাহলে কি সত্যি শেষ অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছে দেশ? এই প্রশ্নের এখনো তেমন ভাবে উত্তর পাওয়া যায়নি। কিন্তু মঙ্গলবার পাটনা হাইকোর্ট জানিয়েছিল, হয় বিহার সর্কার লকডাউন ঘোষণা করুক, না হলে আদালতে তরফে লকডাউন ঘোষণা করা হবে।
হাইকোর্টের এই রায়ের ফলে স্বভাবতই অত্যন্ত চাপে পড়ে যায় বিহার সর্কার। বাধ্য হয়ে লকডাউন ডাকার কথা ঘোষণা করেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। আপনাদের জানিয়ে রাখি, এর আগে বিহারে গত ১ দিনে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১১,৪০৭ জন।