ভুয়ো ভ্যাকসিন মামলা নিয়ে এখন সিবিআই তদন্তের কোন প্রয়োজন নেই, বিজেপি আবেদনের সম্পূর্ণরূপে জল ঢেলে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ভবিষ্যতের সিবিআই তদন্তের আরজি খতিয়ে দেখা হতে পারে বলে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে আপাতত হাইকোর্টের মতামত, এখনই প্রাথমিকভাবে তদন্তে কোন খামতি নেই, তাই এই মুহূর্তে কলকাতা পুলিশ তদন্ত করতে পারে।
আদালতে তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রাজ্যের তদন্তে এই মুহূর্তে হস্তক্ষেপ করা হবে না। রাজ্য যেভাবে তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সেভাবে তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যেতে পারে। এই ভ্যাকসিন কাণ্ডে ফর মোট চারটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে।প্রথমে একটি মামলা খারিজ করে দেওয়া হয়। তারপরে বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি, তাপস মাইতি এবং আইনজীবী সন্দীপন দাস এর আবেদন নিয়ে শুনানি করা হয়েছিল। কিন্তু এবারে তিনটি আবেদন সম্পূর্ণরূপে খারিজ করে দিলো কলকাতা হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ২২ শে জুন প্রথম কসবা ভ্যাকসিন কান্ড প্রকাশ্যে আসে। তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী প্রথমেই ভ্যাকসিন কান্ড সামনে নিয়ে আসেন এবং সেই মামলায় অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে তদন্ত করার জন্য কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম অর্থাৎ গঠন করা হয়। আর কয়েক দিনের মধ্যেই এই দেবাঞ্জন দেব কাণ্ডে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে এবং তদন্ত প্রক্রিয়া বেশ ভালো চলছে। হাইকোর্টের মন্তব্য দেখেই বোঝা যাচ্ছে দেবাঞ্জনকাণ্ডে কলকাতা পুলিশের তদন্তে হাইকোর্ট অত্যন্ত খুশি।
অন্যদিকে আদালতে শুনানি চলাকালীন এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেছেন, অতি দ্রুত এই মামলার চার্জশিট পেশ করা হবে এবং কয়েকটি রিপোর্টের জন্যমাত্র বর্তমানে অপেক্ষা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, ৫০ জনের বয়ান নথিবদ্ধ করা হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। এছাড়াও তার বক্তব্য দুজনের গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করেছে কলকাতা পুলিশ।
অন্যদিকে দেবাঞ্জন এর সঙ্গে শাসক দলের একাধিক নেতা প্রসঙ্গ উঠে আসে এই মামলার সময়। সেই প্রসঙ্গে এডভোকেট জেনারেল বলেন রাজ্যপালের সঙ্গেও তো দেবাঞ্জনের দেহরক্ষী ছবি রয়েছে। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একটি ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পে একজন মহিলার ছবি দেখা গিয়েছিল। কিন্তু তিনি দাবি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কখনও তিনি দেখা করেননি, তাহলে এখানেও নিশ্চয়ই আইনি মামলা চালানো যেতেই পারে।