দুজন ছক ভাঙ্গা মহিলার নাম এমানুয়েল শার্পেনটিয়ার এবং জেনিফার এ. ডাউডনা, যারা দুজনেই কিনা এ বছর রসায়নে নোবেল জিতলেন। বলা যেতে পারে ওই দুই মহিলার নোবেল জয় নতুন প্রজন্মের মেয়েদের কাছে একটা জোরালো বার্তা। জিনোম এডিটিং-এর পদ্ধতি উদ্ভাবনের জন্যই এই দুই বিজ্ঞানী এ বার রসায়নে নোবেল পেলেন, কারণ তাঁরা আবিষ্কার করেছেন ‘জেনেটিক সিজার’৷
এই প্রথম বার কোন মহিলাকে বিজ্ঞানের জন্য নোবেল দেওয়া হল। কোষের মধ্যে জিন পরিবর্তনের যে কঠিন কাজটি এই দুই গবেষক করেছেন। এই দুই মহিলা বলতে গেলে এক প্রকার অসাধ্য সাধন করেছেন। অনেকেই এখনো মেয়েদের তাচ্ছিল্য করে থাকেন, তাদের মতে মেয়েরা গৃহের কাজের জন্যই যথাযথ। কিন্তু বলতে গেলে এমানুয়েল শার্পেনটিয়ার এবং জেনিফার এ. ডাউডনা সেই পুরোনো ধারনা ভেঙ্গে দিয়েছেন।
তাঁরা ‘সিআরআইএসপিআর-সিএএস৯’ নামক এক জেনেটিক কাঁচি ব্যবহার করে উদ্ভিদ বা প্রাণীদেহে জিনোম এডিটিংয়ের কাজকে বাস্তবায়িত করেছেন, যা কোন এককালে অসম্ভব বলেই মানা হত।