বলিউডে আশি-নব্বইয়ের দশকে যদি কোনো গুরুগম্ভীর রাগী কোনও পুরুষ চরিত্র বা কট্টর খলনায়ক হোক৷ তখনই সিনেপ্রেমীদের মাথায় আসবে একটাই নাম। হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন আমি অমরীশ পুরীর কথাই বলছি। একের পর এক তাক লাগানো অভিনয়ে বলিউডের বহু ছবিতে নিজের সুদক্ষ অভিনয় দিয়ে কার্যত মাত করে দিয়েছেন দর্শকদেরঅমরীশ পুরী অভিনীত ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ ছবির বিখ্যাত ‘ মুগ্যাম্বো’ চরিত্রটি আজ ও সিনেপ্রেমীর কাছে চিরস্মরণীয়।
অনিল কাপুর শ্রীদেবী অভিনীত ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ ছবিতে মুগ্যাম্বোর চরিত্রটি সেই সময় বক্স অফিসে সুপার ডুপার হিট।বলিউডের ইতিহাসে এমন ছবির জনপ্রিয়তা রীতিমতো ঈর্ষণীয় ছিল অনেই অনেই অভিনেতার কাছে। শুধু হিন্দিতে নয়, বলিউড ছাড়াও বাংলা, কন্নড়, মারাঠি, তামিল, তেলেগু ছাড়াও অসংখ্য ভারতীয় প্রাদেশিক ভাষায় ৪০০টির বেশ ওপর ছবিতে কাজ করেছেন। তিনবার সেরা সহ অভিনেতা হিসেবে ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পুরষ্কার পেয়েছেন। তবে এই অভিনেতা ২০০৫ সালে ১২ই জানুয়ারী সকলকে ছেড়্ব । তার অসাধারণ অভিনয়ের জন্য আজও তিনি বহু হিট সিনেমা প্রেমীদের মনে অমলিন রয়েছেন।
তবে এতো হল অমরেশ পুরীর কথা। আজ কথা হচ্ছে এই খলনায়কের কন্যা নম্রতা পুরীর কথা। ইনি এত বড় মাপের অভিনেতা মেয়ে হয়েও বরাবর তিনি সেলুলয়েড পর্দা থেকে দূরে থাকেন। নম্রতা পেশায় একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। তিনি এখন সুখী গৃহকোণ। কোনো অভিনেতা নয় বরং তিনি একজন ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেছেন। বর্তমানে নিজের স্বামীর সাথে সুখে সংসার করছেন অমরেশ তনয়া। তবে এই স্টারকিড নিজের ফিগার, লুক এবং স্টাইল স্টেটমেন্টে যে কোনো বলিউডে তাবড় তাবড় অভিনেত্রীদের টেক্কা দিতে পারেন। তবে তিনি কেন সুযোগ থেকে অভিনয় জগতে পা রাখেননি তা জানা যায়নি।