কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন দ্বারা ডাকা ভারত বনধের অনেকটাই প্রভাব দেখা গেল মালবাজার মহকুমার মেটালি ব্লকে। বনধকে কেন্দ্র করে মেটালি ব্লকের বাতাবড়ি ফার্মের মোড়ে এইদিন তৈরি হয় সাময়িক উত্তেজনা। এইদিন সকালে বনধের সমর্থনে বাতাবাড়ি ফার্ম বাজারে পিকেটিং করেন বাম এবং কংগ্রেসের কিছু নেতা। এরপর এলাকা পরিক্রমা করেন তারা। করা হয় বড় মিছিল। এইদিন উত্তরবঙ্গে বনধের বেশ অনেকটাই প্রকোপ দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আটকানো হয়েছে পরিবহণ সংস্থার একটি বাস ও। জাতীয় সড়কের ওপর বসে বনধের সমর্থন করেন সমর্থনকারীরা।
বনধ পরিস্থিতি সামাল দিতে এইদিন বাতাবাড়ি এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশবাহিনী। উপস্থিত ছিলেন মাল বাজারের এসডিপিও দেবাশিষ চক্রবর্তী। তার পরেই শুরু হয় পুলিশের সাথে বনধ সমর্থনকারীদের কথা কাটাকাটি। তবে পড়ে তা মিটে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর।
ফার্ম বাজার ছাড়াও এইদিন মেটেলি বাজার এলাকায় পিকেটিং করেন বাম এবং কংগ্রেস কর্মীরা। দোকানপাট ছিল ঝাঁপ বন্ধ। বন্ধ ছিল সমস্ত সরকারি অফিস ও। তবে স্বাভাবিক অবস্থা দেখা গিয়েছে চা বাগানে। মেটেলি ব্লকের চা-বাগানগুলি এইদিন কাজকর্ম চলেছে স্বাভাবিক ভাবেই। অর্থাৎ বলা চলে যে সেভাবে চা-বাগানের ওপর বনধ প্রভাব ফেলতে পারেনি।
অন্যদিকে সুরক্ষিত থাকতে সরকারি বাস চালকদের দেওয়া হয়েছে হেলমেট। যাদবপুর বাস স্ট্যান্ড সহ বিভিন্ন বাস স্ট্যান্ড থেকে বাস চলতে দেখা গিয়েছে। বাস চালকের মাথায় ছিল সরকারের দেওয়া হেলমেট।
আজ ধর্মঘটকে সামনে রেখে রাজ্য বিধানসভা ভোটের আগে নিজেদের শক্তি পরীক্ষা করছে বাম এবং কংগ্রেস। অন্যদিকে বনধ মানতে নারাজ রাজ্য সরকার। বুধবার ধর্মঘট না মেনে সরকারি কর্মীদের হাজিরা নিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছিল নবান্ন। বলা হয়েছিল যে এইদিন ছুটি করলে বেতনের সাথে কাঁটা যাবে ছুটিও। তাই অনেক সরকারি কর্মীকেই দেখা গিয়েছে রাস্তায়। তবু এই কর্মসূচিকে ঘিরে রাজ্য রাজনীতি অনেকটাই উত্তপ্ত বলা চলে।