এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনের হার্টথ্রব নায়কদের মধ্যে আদৃত রায় একজন। ঘড়িতে রাত ৮টা বাজলে আদৃতকে আমরা রোজই টিভির পর্দায় দেখতে পাই। হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকের সিদ্ধার্থ মোদক ওরফে উচ্ছেবাবুর চরিত্রে। ছোটপর্দার সবচেয়ে জনপ্রিয় ধারাবাহিকের এই নায়ক কেরিয়ারের শুরুটা কিন্তু করেছিলেন রুপোলি পর্দার সিনেমা দিয়ে। ‘নূর জাহান’ দিয়ে অভিনয় জগতে পা রাখা। এরপর একের পর এক সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। সম্প্রতি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে অভিনেতার নতুন ছবি ‘লকডাউন’।
এই ছবি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন অভিমন্যু মুখোপাধ্যায়। এই ছবিতে শ্রাবন্তীর সহ-অভিনেতা হিসাবে দেখা গিয়েছে আদৃত রায়কে। লকডাউনের স্ক্রিনিং এর দিন নিজের কো-স্টার শ্রাবন্তীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ আদৃত। এই দুই জনের অনস্ক্রিন কেমিস্ট্রি লকডাউন ছবির ট্রেলারেই নজর কেড়েছিল। সিনিয়র এই নায়িকাকে নিয়ে সকলের প্রিয় আদৃত এক সংবাদমাধ্যমে বললেন, ‘শ্রাবন্তীদি সেরা, কোস্টার হিসাবে এইটুকুই বলব’। তাঁকে পালটা বলা হয়েছিল, এটা শুনলে অন্য সহ অভিনেত্রীরা কিন্তু তাঁর ওপর রাগ করতে পারেন।
তবে এই প্রশ্ন শোনার পরও নিজের স্টেটমেন্ট থেকে সরে আসেননি আদৃত। বরং সংবাদমাধ্যমে তিনি উলটে বলেন- ‘অন্যরা রাগ করলে তিনি কী করবেন। উনি সত্যিই বেস্ট… আর শ্রাবন্তীদির সঙ্গে কাজ করবার অভিজ্ঞতা খুবই দুর্দান্ত। খুব অল্প দিন তিনি শ্রাবন্তীর সঙ্গে অভিনয় করবার সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু এই কয়েকটা দিনেই তিনি খুব আনন্দ করে কাজ করেছেন, গান-বাজনা করেছেন, এমনকি একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করেছেন। এমনকি তিনি জানিয়েছেন তাঁর গিন্টুদি ওরফে শ্রাবন্তীর বাড়ি থেকে পোলাও, চিকেন সব আসতো। খাবার আসতো তারপরেই অভিনেত্রী সকল কোস্টারদের নিজের মেক-আপ রুমে ফোন করে সকলকে ডাকতেন, শ্যুটিং এ তিনি ছাড়াও বাকিরাও সবাই খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন। তারপরেই সংযোজন করে অভিনেতা বলেন,’আমার জীবনের সবচেয়ে সেরা সহ-অভিনেত্রী ‘।
গত শুক্রবার সিনেমাহলে মুক্তি পেয়েছে ‘লকডাউন’। আদৃত-শ্রাবন্তী ছাড়াও এই ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সোহম-রাজনন্দিনী, এবং ওম-মানালি। পুরোদস্তুর থ্রিলারে মোড়া এই ছবির কাহিনি। গত বছর হঠাৎ করে লকডাউন ঘোষিত হওয়ার পর মানুষের পরিবর্তিত জীবন আর মানুষের বদলে যাওয়া সাইকোলজি এবং আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে এই সিনেমার চিত্রনাট্য। শুরু থেকে তিনটি ভিন্ন কাহিনি একসঙ্গে এগিয়ে চলবে, তবে ছবির শেষে সেগুলি কিভাবে মিলে যাবে তাই দেখানো হবে।