মাইথোলজি

শুধুমাত্র সত্যযুগে অসুরবধ নয়, কলিযুগে করোনা রোধের জন্যও প্রয়োজন মাতৃশক্তির

Advertisement

দেবী দুর্গা তাঁর ভক্তদের রক্ষা করবার উদ্দেশ্যে, নানা সময়ে অবতীর্ন হয়েছেন এই মায়াধরণীর মাঝে। পুরাণে দেবীর শতাক্ষী ও শাকম্ভরি রূপের বর্ণনাও আমরা পাই। তবে সে এক অন্য কাহিনী। বর্তমান পরিস্হিতি ও সেদিনের কাহিনীর মধ্যে বেশ কিছুটা সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়।

একবার রুরু পুত্র দুর্গমাসুর সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মাকে সন্তুষ্ট করেন, তাঁর থেকে চার বেদ প্রার্থনা করেন। সৃষ্টিকর্তাও তাঁর তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে তাঁকে তা প্রদান করেন। অসুরের তীব্র বাসনা ছিল মুনি ঋষিদের ও দেবতাদের ন্যায় জ্ঞান অর্জন করা এবং যজ্ঞভাগ গ্রহণ করা। এই ঘটনার পর পৃথিবীর ওপর নেমে আসে ঘোর সঙ্কট। দেবতারা দুর্বল হয়ে পড়েন। মুনি ঋষিরা পর্বতের গুহায় আশ্রয় নেয়। সৃষ্টির এই সংকট কালে, দেবতা ও মুনি ঋষিদের প্রার্থনায়, দেবী নেমে এলেন শতাক্ষী ও শাকম্ভরি রূপে। শুষ্ক ও নিষ্প্রাণ পৃথিবীকে প্রদান করেন জল ও খাদ্যশস্য। পৃথিবী তাঁর সবুজের সমারোহ ফিরে পান, মাতৃশক্তির কৃপায়! অন্যদিকে দুর্গমাসুরকে বধ করে দেবী দূর্গারুপে প্রসিদ্ধি লাভ করেন। দেবতারা পুনরায় বেদজ্ঞান লাভ করেন ও সৃষ্টি তাঁর স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসে।

এই ঘটনা সেই সত্যযুগের। বর্তমান এই কলিযুগে যে মহাসঙ্কট উপস্হিত, তা কেবল সেই পরাশক্তিই পরিত্রাণ প্রদান করতে পারেন। মনুষ্য প্রয়াস সীমিত। অসীম ও অনন্তকে বশীভূত করা এক নিতান্তই ছেলেমানুষি ছাড়া কিছু নয়। তাই এই সঙ্কটের সময়, আসুন আমরা সেই দেবীকে পুনরায় জাগরিত করি। তাঁর পাদপদ্ম এ পুষ্প অর্পণ করে তাঁকে সন্তুষ্ট করি। তিনিই আবার তাঁর দশ প্রহরণ ধারণ করে, নেমে আসবেন ধরাধামে, ধ্বংস হবে এই মহামারীর প্রলয় নৃত্য। সৃষ্টি হবে শান্তি ও শৃঙ্খলার এক নবীন বাতাবরণ!!

– কুণাল রায়

Related Articles

Back to top button