মাটি বা বৃষ্টির ওপর নির্ভর করতে হবে না, এবার এই আধুনিক উপায়ে কৃষিকাজ করে প্রচুর আয় করুন, জানুন বিস্তারিত
ইজরায়েলে প্রথম শুরু হয় এই আধুনিক চাষের পদ্ধতি
আজকালকার দিনে যতই যোগ্যতা থাকুক না কেন চাকরি পাওয়া বেশ মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। তাই কম বয়সী যুবক-যুবতীরা আজকাল বিভিন্ন ব্যবসা বা স্টার্টআপ করার চিন্তা ভাবনা করছেন। তবে যেকোনো ব্যবসা শুরু করার আগে ভাবা উচিত যে কি ধরনের ব্যবসা করলে কম বিনিয়োগ করে বেশি মুনাফা অর্জন করা যায়। অনেকে ব্যবসা শুরু করার চিন্তাভাবনা রাখলেও আইডিয়া পান না কি বিষয়ে ব্যবসা শুরু করবেন। আজকালকার দিনে চাষ সংক্রান্ত যেকোনো ব্যবসা ব্যাপক লাভজনক হয়ে উঠছে। তবে জমির দাম ও সেইসাথে জায়গার অভাবের কারণে এই ব্যবসা সকলের জন্য অনুকূল হয়ে উঠছে না। তবে আজকের এই প্রতিবেদনে এমন এক উপায় আপনাদের জানাবো যাতে কম জয়াগায় চাষ করে মাসে মাসে ব্যাপক লাভ করতে পারেন আপনি।
ইজরায়েলে এই চাষের উপায় শুরু হলেও এখন বিশ্বমাঝে ব্যাপক জনপ্রিয় হচ্ছে ভার্টিক্যাল ফারমিং পদ্ধতি। এবার একর একর জমি ছেড়ে ছোট্ট কারখানাতেই সতেজ সবুজ সবজির চাষ করা যাবে। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে একটি কোম্পানী এই ভার্টিক্যাল ফারমিং পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে হলুদ চাষ করছে। আপনি এই পদ্ধতি জায়গার অনুপাতে ১০০ গুন বেশি ফলন পাবেন। উল্লম্ব চাষের জন্য একটি বড় সেট তৈরি করতে হয়। যার তাপমাত্রা রাখা হয় ১২ থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তারপর পাইপগুলি ২-৩ ফুট লম্বা এবং চওড়া পাত্রে উল্লম্বভাবে সেট করা হয়। এতে উপরের অংশ খোলা রাখা হয়। যার মধ্যে হলুদ চাষ করা হয়। প্রকৃতপক্ষে, বেশিরভাগ লোক হাইড্রোপনিক বা অ্যাকোয়াপনিক উপায়ে উল্লম্ব চাষ করে। যা মাটিতে করা হয় না। তবে এতে মাটি ব্যবহার করা হয়। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য,ফগার স্থাপন করা হয়, যা তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং তাপমাত্রা স্বাভাবিক হওয়ার সাথে সাথে জল স্প্রে করা শুরু করে। একবার এতে পাইপ বসানো হলে দীর্ঘ সময় পাইপ পরিবর্তন করতে হবে না ।
আপনি যদি এই ভার্টিক্যাল টিউবে হলুদ চাষ করতে চান, তাহলে হলুদের বীজ ১০ সেন্টিমিটার দূরে দূরে স্থাপন করতে হবে জিগ জ্যাগ উপায়ে। ৯ মাসের মধ্যে হলুদ গাছ বড় হয়ে যায়। হলুদ কাটার পর আবার রোপণ করা যায়। সুতরাং ৩ বছরে ৪ বার হলুদ কাটতে পারবেন আপনি। এই পদ্ধতিতে ঝড়বৃষ্টি বা পোকামাকড়ের ভয় না থাকায়, আপনার গাছ নষ্ট হওয়ার কোনো ভয় নেই। এই চাষ করে আপনি ২.৫ কোটি টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।