এখন কেমন দেখতে ‘আশিকি গার্ল’ অনু আগারওয়ালকে, পুরো চেহারা পাল্টে গেছে, দেখুন ছবি

এই মুহূর্তে ভারতে এমন অনেক তারকা আছেন যারা প্রথম দিকে বেশ জনপ্রিয় হলেও হঠাৎ করেই একটা সময়ের পরে ইন্ডাস্ট্রি থেকে হারিয়ে গিয়েছেন। এখন তাদের ব্যাপারে আর কেউ তেমন ভাবে কিছু…

Avatar

এই মুহূর্তে ভারতে এমন অনেক তারকা আছেন যারা প্রথম দিকে বেশ জনপ্রিয় হলেও হঠাৎ করেই একটা সময়ের পরে ইন্ডাস্ট্রি থেকে হারিয়ে গিয়েছেন। এখন তাদের ব্যাপারে আর কেউ তেমন ভাবে কিছু জানেন না। তারা কেমন আছেন, তারা এই মুহূর্তে কোথায় আছেন, তারা বর্তমানে কিভাবে জীবন কাটাচ্ছেন, কোন কিছুর ব্যাপারে কারো তেমন কিছু ভ্রুক্ষেপ নেই। এ রকমই একজন তারকা হলেন অনু আগারওয়াল। তাকে অনেকেই একটা সময় আশিকি গার্ল হিসাবে চিনতেন। একটা সময় এই চলচ্চিত্রটি সোশ্যাল মিডিয়াতে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল এবং হঠাৎ করেই সোশ্যাল মিডিয়ার লাইম লাইটে উঠে এসেছিলেন অনু আগারওয়াল।

তবে, এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করার পরে তাকে আর তেমনভাবে অন্য কোনো চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায়নি। মাত্র ২১ বছর বয়সে তিনি অভিনয় জগতে পা রাখেন এবং তারপর থেকেই তাকে সকলেই আশিকি গার্ল হিসেবে চিনতে শুরু করে। একটা সময় পর্যন্ত তার জনপ্রিয়তা এতটাই বেশি ছিলো যে সকলে তার একটা অটোগ্রাফ পাওয়ার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতেন। কিন্তু ধীরে ধীরে একটা সময় তার জনপ্রিয়তা কমে যায় এবং তিনি পুরো ইন্ডাস্ট্রি থেকে হারিয়ে যান।

যখন তিনি প্রথম সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন তখন অনেকেই বলতেন, সিনেমা জগতে তাঁর ক্যারিয়ার হবে অত্যন্ত সুপ্রতিষ্ঠিত। কিন্তু তার ভাগ্য তার সাথে ছিলনা। ১৯৯৯ সালে তার একটি ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা হয় এবং যার ফলে তিনি অত্যন্ত আহত হন। জানা যায় তিনি নাকি কোমাতে পর্যন্ত চলে গিয়েছিলেন। তবে কোন ভাবে তিনি আবারও তার শারীরিক অসুস্থতা কাটিয়ে ফিরে আসেন। ২৯ দিন পর্যন্ত তিনি টানা আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। এরপর তার ধীরে ধীরে জ্ঞান আসে তবে তিনি নিজের সম্পূর্ণ স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেছিলেন।

এখন কেমন দেখতে 'আশিকি গার্ল' অনু আগারওয়ালকে, পুরো চেহারা পাল্টে গেছে, দেখুন ছবি

দীর্ঘ চার বছর পর্যন্ত তার চিকিৎসা চলেছিল এবং অবশেষে তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন। কিন্তু এই দুর্ঘটনার পরে তিনি আর বলিউডে কাম ব্যাক করতে পারেননি। তাঁর শারীরিক অবস্থা অনেকটাই খারাপ হয়ে গিয়েছিল এবং তার চেহারা অনেকটা বদলে গিয়েছিল। তারপরে তিনি অনেকটাই আধ্যাত্বিক দিকে চলে যান এবং তারপর যোগাভ্যাস এর মাধ্যমে নিজের শারীরিক অবস্থা আবারো ফিরে আনার চেষ্টা করেন। তিনি এই মুহূর্তে একজন যোগা শিক্ষিকা এবং তিনি এই মুহূর্তে গরীব এবং দুঃস্থ শিশুদের জন্য কাজ করেন।