শ্রেয়া চ্যাটার্জী : শিবপুরের বোটানিক্যাল গার্ডেন থেকে বেলুড়ে গঙ্গার ধার পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকাতে দেখা যাচ্ছে ম্যানগ্রোভ গাছ। দেখা যাচ্ছে হাড়গোজা, বাইন কৃপাণের শ্বাসমূল। কিন্তু ম্যানগ্রোভ তো নোনতা জলে হয় , গঙ্গার জল হল মিষ্টি জল। প্রশ্নটা এখানেই?
ম্যানগ্রোভ অরণ্য আমাদের পরিবেশের জন্য খুবই ভালো। আজকে ম্যানগ্রোভ অরণ্য ছিল বলে আমরা বুলবুল এর মতন অনেক ঝড়ের হাত থেকে খুব সহজে বেঁচে যেতে পারছি। কিন্তু গঙ্গার ধারে ম্যানগ্রোভ এটা কিন্তু খুব একটা ভালো লক্ষণ নয়? এটি দেখে বিজ্ঞানীদের মাথায় রীতিমতো চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।
তাদের বক্তব্য জলবায়ু এতটাই পরিবর্তন হচ্ছে এবং গঙ্গার জলে সমুদ্রের জল এত পরিমাণে ঢুকছে যে ম্যানগ্রোভ অরণ্য বেড়ে ওঠার জন্য উপযুক্ত জলবায়ু এবং লবণাক্ত মাটি পেয়ে যাচ্ছে। সমুদ্র থেকে কলকাতার দূরত্ব প্রায় একশো কুড়ি কিলোমিটার। বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে সমুদ্রের জল স্তর বাড়ছে, যার ফলে সমুদ্রের জল উপচে পড়ছে মিষ্টি নদীতে। যার জন্যই এই অস্বাভাবিক ঘটনাটি ঘটতে চলেছে।
নদীর জল এইভাবে যদি ক্রমাগত লবণাক্ত হতে থাকে, তাহলে নদীতে বসবাসকারী প্রাণী দের মত মানুষরা যারা মিষ্টি জল এর ওপর নির্ভরশীল, তারাও বিপদে পড়তে চলেছেন।