ব্যবসা-বানিজ্য ও অর্থনীতি

স্ত্রীর নামে এই বিশেষ অ্যাকাউন্ট খুলুন, প্রতি মাসে ৪৪ হাজার টাকা গ্যারান্টি, জানুন কিভাবে

স্ত্রীর নামে আপনি ন্যাশনাল পেনশন স্কিম অনুযায়ী একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন

Advertisement

আপনি যদি চান যে আপনার স্ত্রী স্বাবলম্বী হয়ে উঠুন এবং আপনার অনুপস্থিতিতেও বাড়িতে নিয়মিত আয় থাকে এবং ভবিষ্যতে আপনার স্ত্রী অর্থের জন্য কারোর উপর নির্ভর না করেন তাহলে আপনি আজকেই তার জন্য নিয়মিত আয়ের ব্যবস্থা করে রাখতে পারেন। এজন্য আপনাকে জাতীয় পেনশন স্কিমে কিছু টাকা বিনিয়োগ করতে হবে; তাহলেই আপনি আপনার স্ত্রীর জন্য একটা নিশ্চিত ভবিষ্যৎ তৈরি করে রেখে যেতে পারবেন। এই এনপিএস হলো কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্প এবং আপনি এই স্কিমে যে অর্থ বিনিয়োগ করবেন তা সম্পূর্ণরূপে একজন ফান্ড ম্যানেজার দ্বারা পরিচালিত হবে। এই পেশাদার ফান্ড ম্যানেজারের দায়িত্ব থাকবে আপনার টাকা যাতে কোনভাবেই বেহাত না হয়। এই পরিস্থিতিতে এমপিএস বিনিয়োগ আপনার জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ। এই স্কিমের অধীনে আপনি যে অর্থ বিনিয়োগ করেন তার রিটার্ন নিশ্চিত নয়। তবে ১০ থেকে ১১ শতাংশ রিটার্ন আপনাকে প্রদান করা হয় এই এনপিএস স্কিমে। অর্থাৎ যদি একটা ভালো অংকের টাকা আপনি বিনিয়োগ করেন তাহলে আপনার স্ত্রীর ভবিষ্যৎ সম্পূর্ণ সুরক্ষিত থাকবে।

এর জন্য আপনাকে আপনার স্ত্রীর নামে একটি নতুন জাতীয় পেনশন সিস্টেম অর্থাৎ এনপিএস অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। ৬০ বছর বয়সে পৌঁছানোর পর এই এনপিএস একাউন্ট থেকে আপনার স্ত্রী একটি মোটা টাকা পাবেন। তার পাশাপাশি প্রতিমাসে পেনশন আকারে কিছু পরিমাণ টাকা আপনার স্ত্রীর ব্যাংক একাউন্টে ট্রান্সফার করবে এনপিএস যোজনা। এর ফলে আপনার স্ত্রী একটা মোটা টাকা পাওয়ার পরেও প্রতিমাসে একটা রেগুলার ইনকাম করতে পারবেন। শুধু তাই নয়, এনপিএস ব্যবহার করে আপনার স্ত্রী প্রতিমাসে কত টাকা করে পেনশন পাবেন তাও আপনি আগে থেকে নির্ধারণ করে নিতে পারবেন। এর ফলে ৬০ বছর বয়সের পর অর্থের জন্য কারোর উপরে আপনার স্ত্রীকে নির্ভরশীল হতে হবে না। চলুন জেনে নেওয়া যাক এই স্কিম সম্পর্কে আরো বিস্তারিতভাবে।

নতুন পেনশন সিস্টেম, ন্যাশনাল পেনশন স্কিম বা এনপিএস স্কিম অনুসারে আপনি মাসিক অথবা বার্ষিক হিসেবে বিনিয়োগ করতে পারেন আপনার একাউন্টে।এই অ্যাকাউন্ট এর বিশেষত্ব হলো আপনি মাত্র ১ হাজার টাকা দিয়ে আপনার স্ত্রীর নামে একটি এনপিএস একাউন্ট খুলে ফেলতে পারেন এবং এই একাউন্ট ম্যাচিওর হবে তার যখন ৬০ বছর বয়স হবে সেই সময়। তবে হ্যাঁ আপনার স্ত্রী চাইলে ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত এই অ্যাকাউন্ট সর্বাধিক চালাতে পারেন। ৬৫ বছর বয়সে যদি ওই অ্যাকাউন্ট তিনি ম্যাচিওর করতে চান তাহলে তাকে অতিরিক্ত কিছু আবেদনপত্র জমা করতে হবে। তাহলেই এই অ্যাকাউন্ট ম্যাচিওর হওয়ার সময় প্রায় কয়েক কোটি টাকার মালিক হয়ে যাবেন আপনার স্ত্রী।

এই এনপিএস একাউন্ট করা থাকলে আপনার স্ত্রী মোটামুটি ৪৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন প্রতিমাসে। তবে এর জন্য আপনাকে একটা মোটা টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। মনে করা যাক যদি আপনার স্ত্রীর বয়স ত্রিশ বছর হয় এবং আপনি তার জন্য একটি এনপিএস একাউন্ট খুলেন এবং সেই একাউন্টে প্রতি মাসে ৫০০০ টাকা করে বিনিয়োগ করেন তাহলে ৬০ বছর পরে কিংবা ৬৫ বছর পরে আপনার স্ত্রী একটা মোটা অংকের টাকা পেয়ে যাবেন। বার্ষিক বিনিয়োগে যদি ১০% রিটার্ন পান তাহলে, ৬০ বছর বয়সে তার একাউন্টে মোট ১.১২ কোটি টাকা থাকবে। এর মধ্যে প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা একসাথে পাওয়া যাবে। বাকি টাকা প্রতি মাসে ৪৫,০০০ টাকা করে পেনশন পাওয়া যাবে। যতদিন পর্যন্ত আপনার স্ত্রী বেঁচে থাকবেন, ততদিন পর্যন্ত এই পেনশন পাওয়া যাবে।

Related Articles

Back to top button